থমকে যাচ্ছে তৃণমূলের ফুটবল!

নতুন বছরের শুরুতে দেশের ফুটবলে ধাক্কা লাগছে। মেধাবী ও নতুন ফুটবলার তৈরি করতে যেখানে দেশব্যাপী ফুটবল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেবে বাফুফে সেখানে উল্টো সীমিত করে আনছে। মাদারীপুর, নীলফামারী ও ফেনী এই তিন জেলায় বাফুফের গ্রাসরুট কার্যক্রম বেশ ভালোভাবেই চলছিল। এএফসির অনুদান কমে যাওয়ায় সেই কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার পথে।
এএফসি বাফুফেকে বাৎসরিক অনুদান দেয়। বাফুফের ভাষ্য, সেই অনুদান কমছে এই বছর ফলে তৃণমূলের আঞ্চলিক কোচরা বাদ পড়ছেন। আঞ্চলিক কোচরা বাদ পড়ে যাওয়ায় এই তিন জেলার গ্রাসরুট কার্যক্রমও স্থগিত হচ্ছে।
ফেনীতে বাফুফের আঞ্চলিক কোচ হিসেবে থাকা দীপক বলেন, ‘বাফুফে আমার সাথে চুক্তি নবায়ন করবে কি না সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানায়নি। আমি এখনও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। চুক্তি নবায়ন না হলেও যেহেতু ফুটবল কোচিং পেশা। ব্যক্তিগতভাবে কোচিং চালিয়ে যাব।’
বাফুফে আঞ্চলিক কোচ ও কোচিং এডুকেশন বিভাগের পলো, পারভেজ বাবুকে বাদ দিয়ে ইতোমধ্যে ২০২১ সালের কোচদের তালিকা এএফসিতে পাঠিয়েছে। দীপক ব্যক্তিগতভাবে কোচিং করালেও বাফুফের সহায়তা থাকবে না সেই অনুশীলনে। বাফুফে তাদের গ্রাসরুট জোনগুলোতে জার্সি, বল ও নানা সরঞ্জাম দিত। গ্রাসরুট বন্ধ হয়ে গেলে সেই সহায়তাও ভাটা পড়বে। বাফুফে তাদের কোচ সংখ্যা কমিয়ে আনায় শুধু এই তিন জেলা নয় খেলোয়াড় বাছাই, আঞ্চলিক প্রশিক্ষণে বড় ধাক্কা লাগছে।
বাফুফের পরিকল্পনা ছিল দেশের আটটি জোনে গ্রাসরুট করা। নানাবিধ সংকট ও সীমাবদ্ধতায় ২০২০ সালের নভেম্বরে ফেনী, মাদারীপুর ও নীলফামারী এই তিন জেলায় গ্রাসরুট কাজ শুরু হয়। এই তিন জেলা বেছে নেয়ার কারণ ছিল অ্যাস্ট্রোটার্ফ। এই তিন জেলায় সপ্তাহে তিন দিন করে বিভিন্ন বয়সের ক্ষুদে ফুটবলাররা অনুশীলন করতো।
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও অনুশীলন করতো নিয়মিত। ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে এই তিন জেলায় অনুশীলন কার্যক্রম চালিয়ে এসেছিল বাফুফে। এই অনুশীলন কার্যক্রমের সুফল কিছুটা মিলেছিল। এই জেলাগুলোতে অনুশীলন করা ফুটবলাররা বাফুফে একাডেমি ও বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হয়।
এজেড/এমএইচ/এটি