এক মাস পর রাইফেল ধরবেন বাকি
পদক জয়ের লক্ষ্যে এখন আজারবাইজানে বাংলাদেশের শুটাররা। সেখানে আব্দুল্লাহ হেল বাকী বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। নিজের সঙ্গে নিজে যুদ্ধ করছেন দ্রুত সেরে উঠার। ইনজুরির জন্য গত কয়েক মাস রাইফেল থেকে দূরে কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্যজয়ী এই শুটার।
দেশসেরা এই শুটার লো ব্যাক পেইনে ভুগছেন। এজন্য রাইফেল হাতে নিতে পারছেন না। চিকিৎসকের বেধে দেয়া বিশ্রামের সময়সীমা প্রায় শেষের দিকে। তাই আশ্বানিত এই শুটার, ‘আশা করি এক মাস পর রাইফেল ধরতে পারব। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক খেলায় ফিরতে পারব।’
সিএমএইচে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার পাশাপাশি দেশের বিশিষ্ট ক্রীড়া চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরিকেও দেখিয়েছিলেন বাকি। এই শুটার সম্পর্কে দেবাশীষ বলেন, ‘খুব সাম্প্রতিক সময়ে বাকি আমার কাছে আসেননি। কয়েক মাস আগে এসেছিলেন। তার ব্যথা ও অবস্থা বিবেচনা করে আমার নির্দেশনা ছিল। সেই মোতাবেক আরো কিছু সময় পর শ্যুটিং রেঞ্জে নামার উপযোগী হওয়ার কথা তার।’
শুটিংয়ে অনেকক্ষণ রাইফেল কাঁধে রাখতে হয়। পাশাপাশি চোখের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুর দিকে দিতে হয় প্রখর দৃষ্টি। এজন্য শুটারদের কাঁধ ও চোখের সমস্যা একটু বেশি হয় অন্য ইনজুরির তুলনায়। তবে বাকি ভুগছেন কোমরের ব্যাথায়। যেটা সচারাচর শুটারদের তেমন হয় না।
শুটিং রেঞ্জে রাইফেল নিয়ে না নামলেও এমনি প্রতিদিনই যেতেন। সতীর্থ শুটারদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। বিশ্বকাপ শুটিংয়ে যেতে না পারলেও আফসোস নেই বাকির, ‘গত এক যুগের বেশি সময় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক টুর্নামেন্ট খেলেছি। ইনজুরির উপর হাত নেই। যারা গেছে সবাই ভালো মানের ও ফিট।’
বাকির লক্ষ্য ছিল প্যারিস অলিম্পিকে সরাসরি খেলা। দুই বছরের কম সময় রয়েছে প্যারিস অলিম্পিকের। ফিটনেস ও ফর্ম ফিরে পেতে সময় লাগবে বাকির। এরপরও লক্ষ্যে অবিচল, ‘সরাসরি সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
এজেড/এইচএমএ/এটি