ফেডারেশনের সমালোচনা করে এক বছর নিষিদ্ধ দ্রুততম মানব

টানা চারবারের দেশের দ্রুততম মানব বনেছেন তিনি। তবু মোহাম্মদ ইসমাইলকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন অলিম্পিকের জন্য বেছে নিয়েছিল জহির রায়হানকে। খবরটা জানতে পেরে তারই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ইসমাইল। সে কারণে এবার তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধই করে দিয়েছে ফেডারেশন।

গত ২ অক্টোবর থেকে আগামী এক বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের খেলা থেকে দূরে থাকতে হবে তাকে।

গেল টোকিও অলিম্পিকের জন্য ফেডারেশন তিনজনকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছিল। সেখানে জহিরের সঙ্গে ছিলেন ইসমাইল ও শিরিন আক্তার। শেষ পর্যন্ত জহিরই চূড়ান্ত মনোনয়ন পান। 

এরপরই ইসমাইল ফেডারেশনের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বসেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে অলিম্পিকের বাছাই হয়নি। আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ সে কারণেই এবার শাস্তির মুখে পড়তে হলো তাকে।

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব জানালেন, ফেডারেশনের ‘ভাবমূর্তি’ ক্ষুণ্ণ করার কারণেই মূলত তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এরপর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানান।

ইসমাইলের সামনে অবশ্য শাস্তি কমানোর আপিলের সুযোগটা খোলা থাকছে। যদিও তাৎক্ষনিক প্রক্রিয়ায় তিনি বেশ হতাশাই প্রকাশ করলেন, ‘নৌবাহিনীর মাধ্যমে আমি এই চিঠি পেলাম। খুব খারাপ লেগেছে খবরটা শুনে। ফেডারেশনকে বিষয়টির একটা সমাধানের জন্য চিঠি দেবে আমার সংস্থা।’

গেল এপ্রিলেই তিনি দেশের সবচেয়ে দ্রুত মানবে পরিণত হন তিনি। তবে এ কীর্তি তার জন্যে নতুন নয়। এর আগের টানা তিন বছরও দ্রুততম মানব ছিলেন তিনিই। এরপর ইরানে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও খেলতে যান তিনি। কিন্তু শেষমেশ অলিম্পিকে আর যাওয়া হয়নি তার। যে কারণেই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি, এরপর তো এবার নিষিদ্ধই হতে হলো তাকে।

এনইউ/এটি