ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করাই স্মার্টনেস
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট নাগরিকরাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিত্তি। পোশাক কিংবা প্রসাধনীতে নয়, ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করাই হচ্ছে স্মার্টনেস।
দেশের বর্তমান প্রজন্ম অসাধারণ মেধাবী এবং তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা পৃথিবীতে বিরল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তাদের হাত ধরেই ২০৪১ সালে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা কলেজ মিলনায়তনে ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব (ডিসিএসসি) আয়োজিত ৮ম ডিসিএসসি বিজ্ঞান মেলা ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ বাস্তবায়নে শিক্ষক অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞানের ছাত্ররাই কেবল বিজ্ঞান চর্চা করে ‘পঞ্চম শিল্প বিপ্লব’ এ ধারণা পাল্টে দিয়েছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, মানব সভ্যতার বিকাশের স্তর ছিল বাষ্পীয় ইঞ্জিনভিত্তিক প্রথম শিল্প বিপ্লব, বিদ্যুৎভিত্তিক দ্বিতীয়, ইন্টারনেট ভিত্তিক তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যুগ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মানে যন্ত্রের উপর নির্ভরতা।
তিনি বলেন, পৃথিবী মানুষের জন্য, তাই মানুষের নিয়ন্ত্রণে যন্ত্র থাকবে মানুষকে সহায়তা করার জন্য। মানুষ ও যন্ত্রের মিশেলে গড়ে উঠছে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব।
মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট মানুষ চেয়েছেন। তুমি স্মার্ট হলে বাংলাদেশ স্মার্ট হবে।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম, ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ এটিএম মাইনুল হোসেন, ঢাকা কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল কুদ্দুস শিকদার,অধ্যাপক শরিফা সুলতানা এবং ঢাকা কলেজ বিজ্ঞান ক্লাবের সভাপতি সাহাব উদ্দিন আহমেদ বক্তৃতা করেন।
এসকেডি