স্মার্ট ইকোসিস্টেমে গড়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়া
আগামী পাঁচ বছরে দক্ষিণ এশিয়ায় ৫০ হাজার তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করবে হুয়াওয়ে। আইসিটি একাডেমি সংযোজন, বিভিন্ন আইসিটি এবং স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা, বিশেষ অনলাইন কোর্স, নতুন কর্মচারী নিয়োগ এমন সব পদক্ষেপ এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সোমবার হুয়াওয়ের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দপ্তর ঢাকায় ‘বিল্ডিং এ স্মার্ট ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম, ইন সাউথ এশিয়া ফর সাউথ এশিয়া’ শিরোনামের একটি অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়।
হুয়াওয়ের সাউথ এশিয়া পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউয়িং কার্ল এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাংবাদিকবৃন্দ এবং হুয়াওয়ে কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভুটান এবং বাংলাদেশকে নিয়ে হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ এশিয়া উপ-অঞ্চল গঠন করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, হুয়াওয়ে সবসময় প্রতিভা বিকাশের উপর জোর দিয়েছে। কারণ এটি স্থানীয় ক্ষমতায়ন এবং সহযোগিতামূলক সাফল্যে বিশ্বাস করে। সেই লক্ষ্যে হুয়াওয়ে গত বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ৬,০০০ জনেরও বেশি তরুণদের আইসিটি প্রতিভা বিকাশে কাজ করেছে এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০,০০০ নতুন আইসিটি প্রতিভা বিকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
ইউয়িং কার্ল বলেন, হুয়াওয়ে একটি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে গবেষণা ও উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করছে। এই বিনিয়োগ আমাদের ইকোসিস্টেম সহযোগীদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদান করতে এবং একসাথে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সহায়তা করে। এছাড়া, সম্প্রতি যেসব দেশ ডিজিটাল রূপান্তর নীতি গ্রহণ করেছে তারা মূলত দক্ষ তরুণ জনগোষ্ঠীর ওপর নির্ভর করবে। আইসিটি খাতের উন্নয়নে দায়িত্বশীল সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ের তরুণদের প্রতিভা বিকাশের জন্য দৃঢ় পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ আমরা বিশ্বে ২,২০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্বে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা প্রতি বছর গড়ে দুই লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকি।