নেপাল ও পূর্ব আফ্রিকায় বাংলাদেশের ক্যাশিয়ার সফটওয়্যার
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বাংলাদেশে তৈরি ডিজি ক্যাশিয়ার সফটওয়্যার নেপাল ও পূর্ব আফ্রিকার বাজারেও সম্প্রতি কার্যক্রম শুরু করেছে। ডিজিটাল হিসাব সংরক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ২০১৭ সালে ডেভেলপমেন্ট শুরু করে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ডিজি নোভা লিমিটেড এবং ২০২০ সালে এই সফটওয়্যারটি সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বাজার পেরিয়ে বিদেশেও উদ্যোক্তাদের চাহিদা পূরণ করছে সফটওয়্যারটি। শিগগির আরও কয়েকটি দেশে এই সফটওয়ারের পরিধি বৃদ্ধির জন্য কাজ চলছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডিজি ক্যাশিয়ার ব্যবহার করা খুবই সহজ। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে আলাদা কোন হার্ডওয়্যার সেটআপের দরকার নেই, এককালীন কোন চার্জ নেই। শুধুমাত্র মাসিক সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ ফি দিয়েই ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপে ব্যবহার করা যায় সফটওয়্যারটি।
ক্রয়-বিক্রয়, স্টক এবং হিসাব সংরক্ষণের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ডিজি ক্যাশিয়ার সফটওয়্যার। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, মোবাইল, ফ্যাশন এক্সেসরিজ, অটোমোবাইল পার্টস এবং ই-কমার্স ব্যবসার জন্য বিশেষায়িত সব ফিচার এবং রিপোর্টের পাশাপাশি যেকোনো খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসা পরিচালনার প্রয়োজনীয় সবকিছু আছে ডিজি ক্যাশিয়ারে।
এছাড়া এই সফটওয়্যার দিয়ে পণ্যের বারকোড বা সিরিয়াল নাম্বার প্রিন্ট এবং স্ক্যান করা, কিস্তি এবং ওয়ারেন্টি ম্যানেজ করা, অনলাইন-অফলাইন অর্ডার এবং কুরিয়ার ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমারকে অটোমেটিক এসএমএস পাঠানো, প্রডাক্টের সার্ভিসিং ম্যানেজমেন্ট, একাধিক কোম্পানি ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজ করা, ফ্রি ই-কমার্স ওয়েবপেজ, ডিজিটাল হিসাব সংরক্ষণ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করা যায়।
এ ব্যাপারে ডিজি ক্যাশিয়ারের কো-ফাউন্ডার মো. মতিউর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের প্রধান শহরগুলো ছাড়িয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্যবসায়ীদেরও আস্থা অর্জন করেছে ডিজি ক্যাশিয়ার। রেমিটেন্স এনে আমাদের রিজার্ভ সমৃদ্ধ করতে দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে নেপাল এবং পূর্ব আফ্রিকাতেও ডিজি ক্যাশিয়ারের কার্যক্রম সম্প্রসারিত হয়েছে। শিগগির আরও কিছু দেশে বাংলাদেশি এই সফটওয়্যারটির কার্যক্রম শুরুর প্রক্রিয়া চলছে।