অপোর ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’-এর আবেদন শুরু
অপো রিসার্চ ইন্সটিটিউট অন্যান্য বৈশ্বিক অংশীদার কোয়ালকম টেকনোলজিস, জিএসএমএ ৫-জি ইন, অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস এবং লিংকডইনকে সঙ্গে নিয়ে আসছে বিশ্ব হাসি দিবসে ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩’।
‘ইন্সপাইরেশন অ্যাহেড’ থিমের ওপর ভিত্তি করে অপো ও ব্র্যান্ডটির বৈশ্বিক প্রযুক্তিখাত (ইকোসিস্টেম) এর অংশীদাররা ৪ কোটি ৭২ লাখেরও বেশি টাকার অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা এবং অংশীদারিত্বমূলক সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে নতুন ও অভিনব প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সল্যুশন প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করছে।
‘২০২৩ অপো ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ’ এ অংশগ্রহণের জন্য আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া গত ৮ মে থেকে শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এছাড়া আগস্টে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও চীনের শেনজেন এ তিনটি আঞ্চলিক পরীক্ষামূলক আয়োজন (রিজিওনাল ডেমো ইভেন্ট) অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রতিটি আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারী বা ফাইনালিস্টদের পরবর্তীতে ‘ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ অ্যাসিলারেশন ক্যাম্প’ এ যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং তারা অপোর এক্সিকিউটিভ ও কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে আগষ্টের শেষে অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল ফাইনাল ডেমো ইভেন্ট’ এর আগে তাদের প্রস্তাবনা সংশোধন করতে পারবে।
এ বছরের ‘অপো ইন্সপাইরেশন চ্যালেঞ্জ’ এর প্রস্তাবনাগুলো চারটি প্রধান মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়িত হবে। এগুলো হচ্ছে- সম্ভাব্যতা (ফিজিবিলিটি), প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন (টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন), দীর্ঘ-মেয়াদি সম্ভাবনা (লং-টার্ম পটেনশিয়াল) এবং সামাজিক মূল্যায়ন (সোস্যাল ভ্যালু)। রিজিওনাল ডেমো ইভেন্ট সমূহ থেকে সর্বমোট ১৫টি মানসম্পন্ন প্রস্তাবনা নির্বাচিত হবে বৈশ্বিক চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী বা ‘গ্লোবাল ফাইনালিস্ট’ হিসেবে। এরপর ‘গ্লোবাল ফাইনাল ডেমো ইভেন্ট’ এ শীর্ষ পাঁচটি বিজয়ী প্রস্তাবনা নির্বাচিত করা হবে ও সেগুলো প্রতিটি অনুদান হিসেবে পাবে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অর্থ্যাৎ ৫৩ লাখ টাকারও বেশি।
প্রতিটি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা পর্ব (রিজিওনাল চ্যালেঞ্জ) থেকে শীর্ষ ১৫টি করে নেওয়া প্রস্তাবনা- সর্বমোট ৪৫টি প্রস্তাবনার জন্য বিশ্বজুড়ে আরো অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগের সুযোগ থাকছে। যেমন- উৎপাদনমুখী ও বাণিজ্যিকীকরণের সুযোগ তৈরি, ১ লাখ ৯০ হাজার ডলার অর্থ্যাৎ ২ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি অর্থের ‘ইনকিউবেশন ফান্ড’ সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যৌথ উদ্যোগ প্রক্রিয়া, কৌশলগত অংশীদারিত্ব, বিনিয়োগ সুযোগ, বৈশ্বিক প্রযুক্তি অনুষ্ঠান সমূহে অংশগ্রহণ সহ অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস থেকে ক্লাউড রিসোর্স ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও পেতে পারবে উপযুক্ত প্রস্তাবনাগুলো।