বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব করতে কাজ করছি
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করার জন্য আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল শতকরা ৯৫ ভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করা সরকারের ডিজিটাইজেশনের স্বপ্নের অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকায় তার দপ্তর থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত থেকে ট্রান্সশান হোল্ডিংসের মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা আই স্মার্ট ইউ ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছোট খাটো কিছু সংকট বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোবাইল ফোন রপ্তানির একটি বড় বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্রের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নের প্রতি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠায় যে স্বপ্ন জাতিকে দেখিয়েছিলেন ২০১৭ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নিরন্তর সহযোগিতায় তা আজ পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্ব মানের ১৫টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরও বেশ কয়েকটি কারখানা স্থাপন পাইপ লাইনে আছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশে মোবাইল ফোনের অভিযাত্রা ১৯৮৯ সালে সীমিত আকারে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তি যুগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।
তিনি বলেন, দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইল ফোনের ফোরজি নেটওয়ার্ক আমরা পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ উৎক্ষেপণ এবং তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো যা বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে। দেশে সে সময় মাত্র আট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্থলে বর্তমানে সাড়ে বারো কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য ট্রান্সশান হোল্ডিংসের উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।
এমএম/এসএম