প্রকাশ্যে এলো অ্যাপলের নতুন ডিভাইস, বদলে যাবে কম্পিউটারের দুনিয়া
আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে অ্যাপ ব্যবহার করার দিন শেষ। এবার থেকে আর সোয়াইপ করে সরাতে হবে না স্ক্রিন। চোখ দিয়ে তাকালেই খুলে যাবে অ্যাপ। হাত ঘুরিয়ে কিংবা স্রেফ হুকুম করলেই হয়ে যাবে কাজ। এমনই এক ডিভাইস সম্প্রতি প্রকাশে আনল অ্যাপ।
প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৫ সালে একটি নতুন পণ্য বাজারে এনেছিল। সেটা ছিল স্মার্টয়াচ। এবার দুনিয়াকে চমকে দিয়ে তারা বাজারে আনল অগমেন্টেড রিয়্যালিটি হেডসেট অ্যাপল ভিসন প্রো। এবার দীর্ঘ প্রতীক্ষা পর নতুন পণ্য আনল এই টেক জায়ান্ট।
অবশ্য সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল নতুন ডিভাইসটি আসলে একটি ‘স্পেশাল কম্পিউটার’, যা ডিজিটাল এবং ফিজিক্যাল পৃথিবীকে মিশিয়ে দিতে চলেছে।
অ্যাপল ভিশন প্রো- এর উদ্বোধন উপলক্ষে সিইও টিম কুক বলেন, ‘কম্পিউটিং যুগের আজ একটি নতুনের সূচনা হল। ঠিক যেমন ম্যাক পার্সোনাল কম্পিউটিংকে, আইফোন মোবাইল কম্পিউটিং-কে পথ দেখিয়েছে, তেমনই অ্যাপল ভিশন প্রো স্পেশাল কম্পিউটিং-এর অগ্রদূত।’
পণ্যটি উন্মোচন হলেও এখনই বাজারে কিনতে পাওয়া যাবে না। ২০২৪ সালে তা সকলের হাতের নাগালে আসবে। যদিও এই অত্যাধুনিক গ্যাজেট নিজের নাগালে পেতে গেলে খরচ করতে হবে প্রায় ৩৪৯৯ ডলার।
এই বিশেষ হেডসেটের ভিতরে রয়েছে দু’টি মাইক্রো ওএলইডি স্ক্রিন এবং মোট ২৩ মিলিয়ন পিক্সেল। অ্যাপল দাবি করেছে, কাস্টম ক্যাটাডায়পট্রিক লেন্সের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এমন স্বচ্ছ ও তীক্ষ্ণ দৃশ্য দেখাবে যা মানুষকে হতভম্ব করে দিতে পারে।
এর সঙ্গে একটি তারযুক্ত ব্যাটারি প্যাক থাকবে যা পকেটে নিয়ে ঘোরা যাবে এবং ঘণ্টা দুয়েক কাজ করতে পারবে। প্লাগ ইন করে রাখলে অনেকক্ষণ হেডসেট ব্যবহার করা যাবে। থাকছে একটি ডিজিটাল ক্রাউন যা ব্যবহারকারীকে স্থির করতে দেবে যে তিনি কতটা বাস্তবে থাকবেন অথবা, না।
এছাড়াও হেডসেটটিতে যেমন রয়েছে ‘থ্রি-ডায়মেনশনাল ক্যামেরা’। তেমনই এটি ভিশন ওএস চালিত, যা অ্যাপল-এর নতুন থ্রি-ডি ইন্টারফেস। ফলে ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি করে বাস্তব বলে বোধ হবে।
এতে একেবারে নতুন একধরনের ইনপুট সিস্টেম থাকছে যা কোনও মানুষের চোখ, হাত এবং কণ্ঠস্বর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। অর্থাৎ আঙুলে ট্যাপ করে, কব্জি ঘুরিয়ে স্ক্রোল করতে পারবেন ব্যবহারকারী। থাকবে ভয়েস ব্রাউজিংও।