মহাকাশ বিজ্ঞানকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চায় এস্ট্রনট ক্যাম্প
অডিটোরিয়ামের বড়পর্দায় ভেসে উঠলো চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি। চন্দ্রযান অ্যাপোলো-১১ এর লুনার মডিউল ’ঈগল’ নেমে এলো চাঁদে। নিইল আর্মস্ট্রং ধীরে ধীরে পা রাখলেন। রচিত হলো ইতিহাস। অডিটোরিয়াম ভর্তি শিশু-কিশোররা মহাবিস্ময়ে দেখলো সভ্যতার আখ্যানে লেখা হচ্ছে মানুষের অদম্য সাহস, প্রচেষ্টা ও উদ্ভাবনের জয়জয়কার।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার ইন্সটিটিউট এবং পাবলিক লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে এমনই এক দৃশ্যের মুখোমুখি হয় এস্ট্রনট ক্যাম্পে আগত শিশুরা।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম, স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প এবং বেটার টুগেদার বিডির যৌথ উদ্যোগে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয় এ এস্ট্রনট ক্যাম্প।
আয়োজকরা জানান, শিশু-কিশোরদের মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহিত করতে এবং মহাকাশের বিভিন্ন বিষয়ে জানানোর উদ্দেশ্যে ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সি ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েই এ আয়োজন। একইসঙ্গে মহাকাশ বিজ্ঞানকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এস্ট্রনট ক্যাম্পের আয়োজকরা।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, সারা দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল এপোলো-১১ মিশন, মার্স রোভার, মুন রোভার নিয়ে স্পেস টক, সেইসঙ্গে ছিল হাতে কলমে মডেল রকেট তৈরি, স্পেসের আদলে রোবট তৈরি, ভি আর বেইস এস্ট্রনট ট্রেইনিং এবং কুইজ কম্পিটিশন। এর বাইরেও বিশেষ চমক হিসেবে ছিল এস্ট্রনট ফটো বুথ। যেখানে শিশু-কিশোররা এস্ট্রনট ড্রেস পড়ে ছবি তোলে।
কক্সবাজার এবং তার আশেপাশের বিভিন্ন স্কুল থেকে প্রায় ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে দিনব্যাপী আয়োজনটিতে অংশগ্রহণ করে।
আয়োজনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) তাপ্তি চাকমা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. নাছির উদ্দিন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, কক্সবাজার ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ইয়াসিন আরাফাত এবং মো সালাম সরওয়ার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ককসবাজার পৌরসভা। এছাড়াও দেশে তৈরি প্রথম রকেটের মাস্টারমাইন্ড নাহিয়ান আল রাহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তাপ্তি চাকমা বলেন ”কক্সবাজারে এই ধরনের এক্টিভিটি হচ্ছে এতে আমি খুব আনন্দিত এবং আমি মনে করি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশে এবং পরবর্তী প্রজন্মকে মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহিত করার জন্য এই ধরনের ক্যাম্প আরও বেশি বেশি দরকার।
বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এর প্রেসিডেন্ট ও নাসা স্পেস এপ্স চেলেঞ্জ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্য কাজ করছে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম। তারই অংশ হিসাবে কক্সবাজারে আমাদের এই কেম্প, স্পেস সায়েন্স ও স্পেস এক্সপ্লোরেশন নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অনেক জানার আগ্রহ রয়েছে।
আয়োজনটিতে সাপোর্ট পার্টনার হিসেবে ছিলেন ইজি কম, ব্যাবিলন রিসোর্সেস, রোবাস্ট রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড এবং সেন্টার ফর হিউম্যান রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, পেমেন্ট পার্টনার সুর্য পে।
পিএইচ