টেলিকম খাতের জন্য ভবিষ্যৎ সংকটের নাম দক্ষ মানবসম্পদ
টেলিকম খাতের জন্য ভবিষ্যৎ সংকটের নাম দক্ষ মানবসম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার (২০ জুন) ঢাকায় বিটিসিএল কল্যাণ তহবিল থেকে তাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, মানবিক কাজ করার পাশাপাশি উপযোগী মানবসম্পদ তৈরির জন্য সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে।
টেলিকম খাতের জন্য ভবিষ্যৎ সংকটের নাম দক্ষ মানবসম্পদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষা প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ তৈরি করছে না। টেলিকম খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনে ভবিষ্যতে এই তহবিল থেকে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিতে হবে।
ভবিষ্যতের শিল্প কারখানা হবে ফাইভ-জি প্রযুক্তি নির্ভর উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিল্প কারখানা যেমন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চলবে তেমনি কারখানা থেকে ডিজিটাল পণ্যও উৎপাদন হবে। সভ্যতার মহাসড়ক হচ্ছে ডিজিটাল কানেকটিভিটি। সেই লক্ষ্যে দেশের সব অর্থনৈতিক অঞ্চল ফাইভ-জি সংযোগের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে।
এ সময়ে তিনি বিটিসিএলসহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরিতে আরও জোরালো ভূমিকা পালন করার নির্দেশ দেন।
বিটিসিএলকে সময়ের প্রয়োজনে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার তাগিদ দিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রচলিত শিক্ষার সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি সংযুক্তির ব্যবস্থা করতে না পারলে উদ্দেশ্য সফল হবে না। বিটিসিএল পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখতে হবে।
আইটি ক্যাডার সার্ভিস থাকা উচিত উল্লেখ তিনি বিদ্যমান টেলিকম ক্যাডার সার্ভিসের সঙ্গে আইটি সংযুক্ত করে এই সার্ভিসটিকে যুগোপযোগী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা যাবে না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বিটিসিএল এর আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবায় নতুন মাত্রায় উপনীত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ড. রফিকুল মতিন বিটিসিএলকে আধুনিকায়নে গ্রহণ করা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন বক্তব্য দেন। এতে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিটিসিএল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ১৭২ জন কর্মচারীর সন্তানদের মধ্যে শিক্ষা অনুদান বিতরণ করা হয়।
একে/জেডএস