শুধু ইউটিউবে দেখা যাবে অস্কার

২০২৯ সাল থেকে অস্কার পুরস্কার অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করবে ইউটিউব। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যাকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের সম্প্রচার সহযোগী এবিসির অধ্যায়ের অবসান ঘটছে।
১৯৬১ সাল থেকে এবিসিতে অস্কার সম্প্রচার হয়ে আসছিল। মাঝখানে স্বল্প সময়ের জন্য ব্যতিক্রম ছিল। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৮ সাল পর্যন্ত এবিসিতে অনুষ্ঠান চলবে। এরপর ২০২৯ সালে ১০১তম অস্কার অনুষ্ঠিত হবে শুধু ইউটিউবে। এই চুক্তি কার্যকর থাকবে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।
এই সিদ্ধান্তকে টেলিভিশন ইতিহাসে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ এবারই প্রথম বড় চারটি পুরস্কার অনুষ্ঠানের একটি পুরোপুরি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে চলে যাচ্ছে। এর আগে নেটফ্লিক্স স্যাগ অ্যাওয়ার্ডসের সম্প্রচার স্বত্ব পেলেও অস্কার, এমি, গ্র্যামি বা টনির মতো অনুষ্ঠান টিভি ছাড়েনি।
ইউটিউবে অস্কার অনুষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে বিনা মূল্যে দেখা যাবে। দুই শতাধিক কোটি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে অনুষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রে ইউটিউব টিভির গ্রাহকরাও লাইভ সম্প্রচার দেখতে পারবেন।
দর্শকসংখ্যা কমে যাওয়াই এই সিদ্ধান্তের পেছনে বড় কারণ। ১৯৯৮ সালে অস্কার দেখেছিলেন প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় দুই কোটিতে। নতুন প্রজন্মের দর্শকের কাছে পৌঁছাতে তাই নতুন পথ খুঁজছে অ্যাকাডেমি।
অ্যাকাডেমির প্রধান নির্বাহী বিল ক্রেমার ও সভাপতি লিনেট হাওয়েল টেলর এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইউটিউবের সঙ্গে এই বৈশ্বিক অংশীদারত্ব অস্কারের ভবিষ্যৎকে নতুন রূপ দেবে। এতে বিশ্বজুড়ে দর্শকের কাছে পৌঁছানো সহজ হবে।
ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী নীল মোহন বলেন, অস্কার শুধু একটি পুরস্কার নয়। এটি একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। এই আয়োজন বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দিতে পারা ইউটিউবের জন্য গর্বের।
চুক্তির অংশ হিসেবে শুধু মূল অনুষ্ঠান নয়, আরও নানা আয়োজন দেখাবে ইউটিউব। থাকবে রেড কার্পেট কাভারেজ। থাকবে পর্দার পেছনের গল্প। ঘোষিত হবে মনোনয়ন তালিকা। থাকবে নির্মাতা ও অ্যাকাডেমি সদস্যদের সাক্ষাৎকার। গভর্নরস বল, চলচ্চিত্র শিক্ষা কার্যক্রম, পডকাস্ট— সবই থাকবে এই প্ল্যাটফর্মে।
স্ট্রিমিং যুগে অস্কারের এই যাত্রা বিনোদন জগতের জন্য নতুন দিশা দেখাচ্ছে। টেলিভিশন থেকে ডিজিটাল পর্দায়, দর্শক বদলের এই গল্প এখন বৈশ্বিক।