ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই
ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের তাগিদ দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও আইওটিসহ আগামী দিনের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকার রোটারি ক্লাব অব আনন্দধারার সপ্তম চার্টার্ড দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি হচ্ছে আগামী সভ্যতার উন্নয়নের বাহন। নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে তৈরির জন্য ডিজিটাল দক্ষতা সৃষ্টির আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি রোটারিয়ানদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে আজ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। ২০৭১ ও ২১০০ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে, সে ভিশন নিয়েও এগোচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে না পারলে ভিশন বাস্তবায়ন করা যাবে না। এ লক্ষ্যে দেশের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ মহিরূহে রূপান্তর লাভ করেছে। অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেও এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
রোটারিয়ানদের মানবসেবাকে মহৎ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেবাই হচ্ছে মানবতার ধর্ম। সেবা করার চেয়ে বেশি প্রশান্তি আর হতে পারে না। সেবার মাধ্যমে অসহায় মানুষের জীবন বদলে দেওয়া এখনকার পরিস্থিতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ একটি কাজ।
ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রোটারিয়ান তারেক বোখারি। এতে সংযুক্ত ছিলেন, রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মোতাসিম বিল্লাহ ফারুকি, টিআইএম নুরুল কবির, সাকিনা রহমান, এফএম আলমগীর, রুবায়েত হোসেন ও ফরিদ আলম নিউটনসহ অনেকে।
একে/আরএইচ
