বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগে স্যামসাংকে ৪শ কোটি টাকা জরিমানা
টেক জায়েন্ট স্যামসাংকে ৪৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় চারশ কোটি টাকা জরিমানা করেছে ‘ডাচ কনজুমার ওয়াচডগ’।
দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেদারল্যান্ডের অনলাইন রিটেলারদের বেশি দামে টেলিভিশন সেট বিক্রি করার জন্য ‘অত্যধিক চাপ’ সৃষ্টি করেছিল।
ভারতীয় গণমাধ্যম ডেইলি হান্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেদারল্যান্ডের রিটেলাররা নিজেদের ইচ্ছা মতো দামে টেলিভিশন বিক্রি করতে চাইছিল। তবে, স্যামসাং ওইসময় রিটেলারদের চাপ দিয়ে বেশি দামে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে বাধ্য করে, যা মার্কেট কম্পিটিশন নিয়মের বিরুদ্ধে।
তবে স্যামসাং অভিযোগ অস্বীকার করে ডাচ কনজুমার ফোরামের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ আনে ‘ডাচ কনজুমার ওয়াচডগ’।
‘নেদারল্যান্ডস অথরিটি ফর কনজুমার্স অ্যান্ড মার্কেটস’ (এসিএম) এর নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় খুচরা বিক্রেতারা তাদের মনমাফিক টেলিভিশনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে, স্যামসাং বা অন্য কোনো সংস্থার ক্ষেত্রে এই নিয়মটি প্রযোজ্য নয়। এসিএম বোর্ডের চেয়ারম্যান মার্টিজন স্নোপ বলেছেন, উল্লেখিত সময়ে, স্যামসাং নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর লক্ষ্যে, রিটেলারদের নিজেদের মনমতো দামে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে দেয়নি, যা রিটেল স্তরের প্রতিযোগিতায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদেরও বেশি দামে টিভি কিনতে হয়েছে।
এসিএম আরও অভিযোগ করেছে, দাম বেঁধে দিয়ে স্যামসাং ওই সময় পুরানো মডেলগুলোও বেশি দামে বিক্রি করেছে। জনপ্রিয় কোম্পানি হওয়ায়, রিটেলাররা বাধ্য হয়েছে তাদের টিভি বিক্রি করতে।
ডাচ কনজুমার ওয়াচডগ জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালীন তারা স্যামসাং কর্তৃক খুচরা বিক্রেতাদের কাছে করা ই-মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে প্রমাণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করেছে।
এদিকে এসিএম-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্যামসাং। এসিএমের সিদ্ধান্তে বিরক্তি প্রকাশ করে স্যামসাং জানিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে শিগগিরই আপিল করা হবে এবং তারা কখনই মার্কেট কম্পিটিশন নিয়ম লঙ্ঘন করেনি।
এইচকে