ক্লাবহাউসের জনপ্রিয়তার কারণে হুমকির মুখে টুইটার
কয়েক মাস ধরে এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ ক্লাবহাউসের কারণে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটারের অডিও মেসেজিং ফিচার স্পেসেস ব্যবহার করতে চাইছেন না অনেক ব্যবহারকারী। চলতি সপ্তাহে এক ব্লগপোস্টে অডিও মেসেজিং অ্যাপ ক্লাবহাউসের প্রতিষ্ঠাতা পল ড্যাভিসন ও রোহান সেথ বলেন, অ্যাপটিতে রুম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাতে পারেন; এখানে হোস্টরা মডারেটর হিসেবে কাজ করে থাকে। যারা কথা বলতে চান তাদের ভার্চুয়ালি হাত তুলে এখানে কথা বলতে পারবেন।
তারা আরও বলেন, ক্লাবহাউস অ্যাপের উদ্দেশ্য মানুষকে অডিও কনফারেন্সের সঙ্গে সংযুক্ত করা। যেখানে টেক্সট পোস্টের বদলে অডিও পোস্ট করা হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে লঞ্চিংয়ের সময় মেসেজিং অ্যাপ ক্লাবহাউসের নাম ছিলো সিলিকন ভ্যালি। তখন বিশ্বে এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্য ছিলো ২০ লক্ষ। বর্তমানে এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ কোটি। ব্লগপোস্টে বলা হয়, ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করাই তাদের উদ্দেশ্য।
তবে প্রশ্ন উঠছে মেসেজিং অ্যাপ ক্লাবহাউস ব্যবহার করে অসত্য তথ্য, অশালীন কথা প্রচার করে তাহলে তাদের কীভাবে দেখবে? এই বিষয়ে সিএনএনের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পডকাস্ট মডারেশনের বিষয়টি ক্যাটালগের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই কারণে টুইটার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলসের সহকারী অধ্যাপক সারাহ রবার্টস বলেন, ‘এখানে প্রোগ্রামিং ভাষার ক্ষেত্রে টেক্সটে বিশাল ব্যাবধান থাকতে পারে। মেসেজিং অ্যাপ ক্লাবহাউসে এখন যে কোনো মডারেশন প্রক্রিয়া চালু হতে পারে।’
২০২০ সালের অক্টোবরে এক ব্লগপোস্টে ক্লাবহাউস বলেছেন, অক্টোবরের মধ্যে ব্লকিং, মিউটিং, ইন-রুম রিপোর্টিং এবং মডারেটরদের জন্য রুম ক্লোজ করার সেফটি ফিচার যুক্ত করা হবে। নভেম্বরে তারা আরও বলেছেন, কোনো আপত্তিকর তথ্য না থাকলে টেমপোরারি ও এনক্রিপ্টেড অডিও রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর মুছে দেয়া হবে।
এইচএকে/আরআর/এএ