১৭ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ পেল টেন মিনিট স্কুল
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি সেকইয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া এর 'সার্জ' প্রোগ্রামের আওতায় ১৭ কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে টেন মিনিট স্কুল। বাংলাদেশি এড-টেক কোম্পানি হিসেবে টেন মিনিট স্কুল এই বিনিয়োগ পেয়েছে।
এই বিনিয়োগ নতুন প্রোডাক্ট ও কন্টেন্ট তৈরি, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রসারে ব্যবহৃত হবে।
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক আয়মান সাদিক বলেন, ‘২০২১ সালে টেন মিনিট স্কুল ব্যবসায়িকভাবে ১২ গুণ বড় হয় এবং আমাদের ইউজারদের কাছে টেন মিনিট স্কুল অ্যাপটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সেকইয়া ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া এই বিনিয়োগ টেন মিনিট স্কুলের প্রোডাক্ট, টেকনোলজি, দক্ষ জনবল এবং কার্যক্রমের বিস্তার ঘটাতে বেশ সাহায্য করবে। আশা করি, আমরা নতুন বছরে এই বিনিয়োগের মাধ্যমে টেন মিনিট স্কুলের বিকাশ আরো ত্বরান্বিত করে আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে গুণগত শিক্ষা পৌঁছে দিতে পারব।’
২০২০ এর শুরুর দিকে করোনা মহামারীতে দেশের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম যখন থমকে যায়, তখন অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা নতুন করে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে। লকডাউনেও যাতে পড়াশোনা থেমে না থাকে এই চেষ্টায় নতুন নতুন কোর্স ও বই বের করে ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠানগুলো। শুধু এই মহামারীর সময় প্রায় ৯০ লাখ নতুন শিক্ষার্থী যুক্ত হয় টেন মিনিট স্কুলের সাথে। ১৭,০০০ নতুন ভিডিও লেকচার যুক্ত হয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের কাছে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিকে আরো সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৫ সালে আয়মান সাদিক ও আবদুল্লাহ আবইয়াদ রাইদের হাত ধরে টেন মিনিট স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। "নেভার স্টপ লার্নিং" মূলমন্ত্র নিয়ে শুরু হওয়া টেন মিনিট স্কুলের কার্যক্রম প্রথমে শুধুমাত্র ভর্তিপরীক্ষা প্রস্তুতি কেন্দ্রিক হলেও এখন তা আরো প্রসারিত হয়েছে।
দেশব্যাপী ভালো মানের শিক্ষামূলক অনলাইন কন্টেন্ট পৌছানোর জন্য কাজ করছে টেন মিনিট স্কুল। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই লার্নিং অ্যাপটি ব্যবহার করছে ৩০ লক্ষের বেশি শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি স্পোকেন ইংলিশ, পাওয়ারপয়েন্ট, ফ্রিল্যান্সিং, ফেসবুক মার্কেটিং, কোরআন শিক্ষা সহ আরও অনেক ধরনের কোর্স থাকার ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে টেন মিনিট স্কুল।
এএ