কলকাতায় ঘুরতে গেলে সকালের নাস্তা করতে পারেন যেসব জায়গায়
পাশাপাশি রাষ্ট্র হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাওয়া আসা। এমনকি বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমী ও ভোজন রসিকদের কাছে এখন অন্যতম প্রিয় গন্তব্য কলকাতা। শহরটির দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন ঐতিহ্যবাহী, তেমনই বিশ্বজুড়ে বেশ নাম-ডাক রয়েছে এখানকার খাবারের।
দিন যদি ভালো খাবার দিয়ে শুরু হয়, তাহলে সারাদিন মন এমনিতেই চাঙ্গা থাকে। আর বাঙালিদের সকালের নাস্তার জন্য কলকাতায় থাকে বাহারি আয়োজন। কখনও কচুরি-জিলিপি, কখনও দক্ষিণী খাবার, কখনও বা চাইনিজ ব্রেকফাস্ট! আজ জানাবো, কলকাতা শহরের অন্যতম মজার কিছু নাস্তার খোঁজ।
বলবন্ত সিংহ ধাবা
ঘুম থেকে উঠে খুব ভোরে পৌঁছে যেতে পারেন হরিশ মুখার্জি রোডের বলবন্ত সিংহ ধাবায়। ভবানীপুরের এই ধাবা খোলে ভোর ৫টায়। এখানকার কেশর চা, ক্লাব কচুরির স্বাদ অতুলনীয়। তবে এখানকার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুধ কোলা। এছাড়া জিলিপিও টেস্ট করে দেখতে পারেন।
টেরিটি বাজার
চাইনিজ খাবার খুব বেশি পছন্দের হলে টেরিটি বাজারে হতে পারে আপনার নাস্তার আদর্শ ঠিকানা। সেখানে পাওয়া যায় স্টিম্ড মোমো, চিকেন মোমো, ফিশ মোমো, পর্ক মোমো, চিকেন তাই পাও, শুইমাই, সসেজ, প্রন ওয়েফার, হট সুপ নুডুলস, স্টিম্ড বাওজি বান, চিকেন রোল সসেজ, স্টাফড বান, স্প্রিং রোল, ওয়ান্টনসহ নানা মুখরোচক খাবার। তবে সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে সব খাবার শেষ হয়ে যায়।
মহারানি
কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত দেশপ্রিয় পার্ক এলাকায় অবস্থিত বহু পুরোনো ও বিখ্যাত দোকান মহারানি। এখানকার হিঙের কচুরি ও ঘিয়ে ভাজা জিলিপির অসাধারণ স্বাদ আপনার দিনের শুরুটা করে তুলবে মনোরম। মহারানীর চায়ের তুলনা নেই। এই দোকানের নামের সঙ্গে এর খাওয়ারের স্বাদ একেবারে আক্ষরিক অর্থেই মিলে যায়।
ব্যানানা লিফ
কলকাতার জনপ্রিয় দক্ষিণ ভারতীয় রেস্তরাঁগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যানানা লিফ। এখানকার খাবার যেমন মনে রাখার মতো, তেমনই পরিবেশও। তাই তো এই রেস্তরাঁয় গেলেই চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যায়। এখানকার ফ্রাইড মিনি ইডলি বেশ জনপ্রিয়। তার পাশাপাশি মশলা দোসা, সম্বর বড়া অথবা আপ্পামও খাদ্যরসিকদের বেশ পছন্দের।
ফ্লুরিজ
‘ইংলিশ ব্রেকফাস্ট’-এর স্বাদ উপভোগ করতে হলে ফ্লুরিজ গন্তব্য হতেই পারে। সেখানে ঢুকলে মনে হবে যেন সেই ব্রিটিশ আমলে চলে এসেছেন। এখানকার ব্রেকফাস্ট প্ল্যাটার বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া পেস্ট্রি, পাফ, ব্রাউনি আর দার্জিলিং চায়ের স্বাদ উপভোগ করতে চাইলে যেতে হবে ফ্লুরিজে।
এমএইচএস