পাতায়া সমুদ্রসৈকতে যে ৭ জায়গায় যেতে পারেন
থাইল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত পাতায়া পর্যটকদের কাছে সমাদৃত একটি সমুদ্রসৈকত। এখানে সব বয়সের পর্যটক বেড়াতে আসেন। চলুন জেনে নেয়া যাক পাতায়ার কোন ৭ জায়গা বেশি আকর্ষণীয়:
১. ভোজসভা
পাতায়া সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় একটি সমুদ্রসৈকত। এখানে এলে পর্যটকরা ভোজসভা করে আমোদ-প্রমোদ করে থাকে। বিশেষ করে সমুদ্রসৈকতের পাশে রাস্তার ওপর থাকা খাবারের দোকানগুলোতে রাতব্যাপী ভোজসভা চলে।
২. বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রশান্তি
পাতায়ায় নং নুচ বোটানিক্যাল গার্ডেন হতে পারে আপনার প্রশান্তির জায়গা। এখানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসেন প্রশান্তির নিঃশ্বাস নিতে। সুন্দর অবসর কাটানোর জন্য এই বোটানিক্যাল গার্ডেন উপযুক্ত জায়গা।
৩. ভাসমান মার্কেট
থাইল্যান্ডের অন্যান্য জায়গার মতো পাতায়ায়ও ভাসমান মার্কেট রয়েছে। এখানে প্রতিদিন শাক-সবজি বিক্রি করে থাকেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। এই মার্কেটের একজন ক্রেতা হওয়ার জন্য আপনিও তা কিনতে পারেন।
৪. ফ্রা খাও ইয়াই পাহাড়
ফ্রা খাও ইয়াই পাহাড় বুদ্ধপাহাড় নামে পরিচিত। এখানে রয়েছে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি। বুদ্ধপাহাড় থেকে পাতায়া সমুদ্রসৈকত উপভোগ করা যায়। প্রকৃতিপ্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হলে ফ্রা খাও ইয়াই পাহাড় থেকে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও।
৫. খাও চি চ্যান
খাও চি চ্যান পাহাড়ে বুদ্ধের প্রতিকৃতি আঁকা রয়েছে। বুদ্ধের এই প্রতিকৃতি পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় প্রতিকৃতি। সেখান থেকে ঘুরে এলে মন প্রশান্ত হবে।
৬. আনেক কুসালাশালা
আনেক কুসালাশালা একটি মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামকে চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মিত্রতার নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়। মিউজিয়ামটিতে রয়েছে তামা ও কাঁসার তৈরি বস্তু। বৌদ্ধ ও তাও ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান।
৭. মুম আরৌ
মুম আরৌ নামে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে যেখানে দুপুরের খাবার পাওয়া যায়। পাতায়া সমুদ্রসৈকত ভ্রমণের সময় যাত্রাবিরতিতে পর্যটকরা এখান থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। এই রেস্তোরাঁর খাবার বেশ সুস্বাদু। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় জায়গা এটি। মজার খাবার খেতে চাইলে আপনিও এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
এইচএকে/এইচএন