পর্যটন খাতকে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পর্যটন খাতকে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে। যদিও বিগত ১০-১২ বছরে এ খাতে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। তারপরও আমাদের পর্যটন খাতকে বিশ্বমানের করে গড়ে তোলা দরকার। এ লক্ষ্যে আমাদের পর্যটন সংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নয়নে আমাদের আরও মনোনিবেশ করতে হবে। সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে সমন্বয় সাধন করতে হবে। কেননা, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই পর্যটন খাত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের পদ্মা হলে পাক্ষিক ট্রাভেল পত্রিকা 'বাংলাদেশ মনিটর' আয়োজিত ১৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো নতুন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকরা সাধারণত সে দেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহ পরিদর্শন করে থাকেন। প্রাগৈতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। এদেশের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস-ঐতিহ্য। আমাদের সরকারি গেজেটভুক্ত ৫১৭টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থানের যথাযথ সংস্কার-সংরক্ষণ সম্পন্ন করা হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্ব পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাজনাহ মো. হাশিম, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রাহাত আনোয়ার ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের হেড অব কমিউনিকেশন ও এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জিয়াউল করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাক্ষিক বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক ও মেলা আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান কাজী ওয়াহিদুল আলম।
এমএম/এমজে