বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন সহযোগিতা আরও বিস্তারে আগ্রহী মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার শুহাদা ওসমান বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পর্যটন, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুই দেশের বন্ধুত্ব বহুদিন ধরে আস্থা, পারস্পরিক সম্মান ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে এগিয়ে এসেছে। নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এই অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটা আরও বিস্তারে আগ্রহী মালয়েশিয়া।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ফেয়ারের গালা ডিনার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
হাইকমিশনার বলেন, আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটককে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় আছে মালয়েশিয়া। কারণ পর্যটন হলো এমন এক সেতুবন্ধন; যা খাবার, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দুই সমাজকে কাছে আনে।
ওসমান বলেন, ‘ফেস্টিভ্যাল মালয়েশিয়া’ মালয়েশিয়ার বহুসাংস্কৃতিক সুরেলা সহাবস্থানের রং, স্বাদ ও ছন্দকে তুলে ধরে। সাংস্কৃতিক বিনিময় দুই দেশের উষ্ণ সম্পর্ককে দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের সফরগুলোর কথাও স্মরণ করেন, যার মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কুয়ালালামপুর সফর রয়েছে। এসব সফর পর্যটন, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে দুই সরকারের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
হাইকমিশনার বলেন, মালয়েশিয়ার বৈশ্বিক সংযোগ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম বেশি সংযুক্ত বিমানবন্দর হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে; যা দেশটিকে ভ্রমণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, পর্যটন খাতের প্রতিনিধিসহ অনেকে অংশ নেন।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনে যাত্রী ফেরত যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করলে ই-ভিসা প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল ও সহজ—কিন্তু তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে তথ্যবিভ্রাট হতে পারে, যা জটিলতার সৃষ্টি করে এবং এমনকি ব্ল্যাকলিস্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
তিনি বাংলাদেশি নাগরিকদের কেবল সরকারি ই-ভিসা সাইট ব্যবহার করার অনুরোধ জানান, যা হাইকমিশনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত শেয়ার করা হয়।
এআর/জেডএস