বিটিএস নিয়ে ১০ কথা

;

বিখ্যাত কোরিয়ান ব্যান্ড ‘বিটিএস’ যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালে। তাদের প্রথম গান ‘নো মোর ড্রিম’। যেখানে তারা সমালোচনা করে নিজ দেশের কিছু সামাজিক প্রচলন নিয়ে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকদের মানসিক চাপ নিয়েও বলেছে এই ব্যান্ড।

;

‘ব্রেইনচাইল্ড’ টিভি সিরিজের লেখক ও প্রযোজক ব্যাং শি হায়ুকের মাধ্যমে ‘বিটিএস’-এর যাত্রা শুরু। তিনিই দলনেতা আরএমসহ অন্যন্য সদস্যকে একত্রিত করেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন জিন, সুগা, জে-হোপ, আরএম, জিমিন, ভি ও জাংকুক।

;

‘বিটিএস’ সদস্যরা নিজেদের লুকে সবসময় ভিন্নতা রাখেন। পোশাকের ক্ষেত্রেও রয়েছে বেশ মিল। আর তাদের বন্ধুত্বের প্রকাশ ভক্তদের সবচেয়ে আবেগী করে তোলে।

;

২০২০ সালজুড়ে কয়েকটি লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ‘বিটিএস’। যা তাদের জনপ্রিয়তাকে হঠাৎ চূড়ায় নিয়ে যায়। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ডটি দেশের পুঁজিবাজারে ১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার উপার্জন করে।

;

কোরিয়ান ভাষার সঙ্গে কয়েকটি ইংলিশ শব্দ জুড়ে দেয়া হয় ‘বিটিএস’-এর গানে। তাদের পূর্ণাঙ্গ ইংরেজী গান ‘ডিনামাইট’। যা ব্যান্ডের জনপ্রিয়তাকে কয়েক ধাপ এগিয়ে নেয় গানটি। এজন্য ২০২০ সালে প্রথমবার সংগীতের সর্বোচ্চ সম্মানজনক পুরস্কার গ্র্যামির মনোনয়ন পায় এই ব্যান্ড।

;

‘ডিনামাইট’-এর জন্যই লেডি গাগা, টেইলর সুইফটের পাশাপাশি ‘সেরা পপদ গ্রুপ পারফরম্যান্স’ বিভাগের জন্য মনোনয়ন পেয়েছে বিটিএস। গানটি মুক্তির পর ‘বিলবোর্ড হট ১০০’ চার্টের প্রথমে অবস্থান করেছে টানা দুই সপ্তাহ।

;

২০২০ সালে সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড গড়েছে ‘বিটিএস’। গ্লোবাল রেকর্ডেড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি সংস্থা আইএফপিআই (ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব দ্য ফনোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি) সম্প্রতি এই ঘোষণা দিয়েছে।

;

‘ম্যাপ অব দ্য সোল: ৭’ ও ‘বি’ শিরোনামে ২০২০ সালে দুটি জনপ্রিয় অ্যালবাম প্রকাশ করেছে ‘বিটিএস’। যেগুলো স্থান পেয়েছে সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রির তালিকায়। পাশ্চাত্যের বাইরে ইংরেজি গানের জন্য ‘বিটিএস’ প্রথম এই স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

;

ব্যান্ডের সাত তারকা ‘ডিনামাইট’ গানে পরেছিলেন প্যাস্টেল রঙের পোশাক। রেকর্ডিং একাডেমির মিউজিকেয়ারস চ্যারিটি রিলিফের জন্য সেই পোশাক এবার নিলামে উঠে। বাংলাদেশের মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৩৬ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছিল পোশাকগুলো। সংগীতশিল্পীদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হয় সেই অর্থ।

;