তাসনুভা শিশির

© ফেসবুক

;

সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমে কয়েকদিন ধরে বেশ আলোচনায় রূপান্তরিত নারী তাসনুভা আনান শিশির। সংবাদ পাঠিকা হিসেবে বৈশাখী টিভিতে তার যুক্ত হওয়ার খবরে হইচই পড়ে যায় চারদিকে।

© ফেসবুক

;

নাটকে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন তাসনুভা শিশির। এজন্য বৈশাখী টেলিভিশনে গিয়েছিলেন অডিশন দিতে। উচ্চারণ ভালো দেখে নিউজের জন্য অডিশন নেন তার। এরপরই তাকে সংবাদ পাঠিকার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

© ফেসবুক

;

বৈশাখী টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডারদের ধারাবাহিক ও স্থায়ী উন্নয়নের ধারা নিশ্চিত করতে সবার মানসিকতার পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরী। এ কারণেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে তারা সংবাদে ও নাটকে দুইজন ট্রান্সজেন্ডার নারীকে যুক্ত করছেন।

© ফেসবুক

;

তাসনুভা আনান শিশির একজন অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবেও পরিচিত। সংবাদ পাঠিকা হিসেবে যুক্ত হওয়ার আগেই ‘কসাই’ সিনেমায় যুক্ত হন তিনি। এতে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রূপান্তরিত এই নারী।

© ফেসবুক

;

তাসনুভা শিশিরের জন্ম বাগেরহাটে। বাবা-মা তার নাম রেখেছিলেন কামাল হোসেন। কলেজে থাকতে উপলব্ধি করেন মেয়েদের মতো চলতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। আশেপাশের লোক তাকে ‘হিজড়া’ বলা শুরু করেন। এক সময় ঘর ছাড়েন তিনি।

© ফেসবুক

;

জন্মস্থান ছেড়ে চলে আসেন নারায়ণগঞ্জে তাসনুভা শিশির। তোলারাম কলেজে সমাজকর্মে মাস্টার্স করেন। ২০১৬ সালে কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে পুরুষ থেকে রূপান্তরিত নারী হন তিনি।

© ফেসবুক

;

রূপান্তরিত নারী হওয়ার পর আবারও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তাসনুভা। তার সব কাজ বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজটিও বন্ধ হয়ে যায়। তবে থেমে যাননি তিনি। চালিয়ে গেছেন জীবনসংগ্রাম।

© ফেসবুক

;

দেশের ইতিহাসে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে প্রথম সংবাদ উপস্থাপক তাসনুভা শিশির। এতে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। ফেলে আসার সময়ে আর ফিরে যেতে চান না তিনি। কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করে যেতে চান।

© ফেসবুক

;

তৃতীয় লিঙ্গের কমিউনিটির সদস্যদের ভাগ্য পরিবর্তন করা তাসনুভা শিশিরের স্বপ্ন। তাদের জন্য একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করা। তাদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রতিটি মানুষকে সাপোর্ট দিতে চান তিনি।

© ফেসবুক

;