শাহরুখ খান

;

শাহরুখ খানের অভিনয় জীবন শুরু ছোট পর্দা দিয়ে। ১৯৮৮ সালে তিনি ‘দিল দরিয়া’ নামে একটি টিভি ধারাবাহিকে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু শুটিং হতে দেরি হওয়ায় ১৯৮৯ সালে ‘ফৌজি’ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জীবনের শুরু হয়। 

;

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন শাহরুখ খান। তার বিপরীতে ছিলেন দিব্যা ভারতী। সিনেমাটি ব্যবসা সফল হয়। এমনকি সেরা নবাগত নায়ক হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। একই বছর তার আরও ৩টি সিনেমা মুক্তি পায় তার। 

;

১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় শাহরুখ খানের ৫টি সিনেমা। এরমধ্যে ‘বাজিগর’ ও ‘ডর’-এ খলচরিত্রে অভিনয় করে তারকাখ্যাতি পেয়ে যান তিনি। ‘ডর’ ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ‘বাজিগর’-এর জন্য তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার পান। 

;

শাহরুখের ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ বছর ১৯৯৫। বলিউডে নতুন এক ইতিহাস তৈরি হয় তখন। মুক্তি পায় শাহরুখ-কাজল জুটির ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’। এটি বক্স অফিসের আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। এছাড়া ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত সিনেমা হিসেবে নতুন রেকর্ড করেছে।

;

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ এর পর শাহরুখ ‘কিং অব রোমান্স’হিসেবে পরিচিতি পান। একে একে উপহার দিতে থাকেন রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা। এরমধ্যে রয়েছে দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মোহাব্বতে (২০০০), কাভি খুশি কাভি গম (২০০১), কাল হো না হো (২০০৩) এবং ভীর-জারা (২০০৪), দেবদাস (২০০২) ইত্যাদি।

;

দিল্লির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে গৌরীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহরুখ খান। ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর মালা বদল করেন তারা। বর্তমানে দুই ছেলে আরিয়ান, আবরাম ও মেয়ে সুহানাকে নিয়ে শাহরুখ-গৌরী খানের সংসার।

;

শাহরুখ-গৌরীর পরিচয় ১৯৮৪ সালে। দুজনই স্কুলে পড়তেন তখন। শাহরুখের বয়স ছিল ১৯, আর গৌরীর বয়স ১৪। একটি অনুষ্ঠানে তাদের প্রথম সাক্ষাৎ। তখন থেকে তাদের বন্ধুত্ব শুরু। এরপর প্রেম থেকে বিয়ে।

;

শাহরুখ খান প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের সম্পদের মালিক। আর এ অর্থ তিনি কেবল অভিনয়ের বলেই উপার্জন করেননি। আরও ৯টি উপায়ে অর্থ উপার্জন করেন শাহরুখ। নায়ক থেকে প্রযোজক, অতঃপর পরিবেশক। আবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক তিনি

;

স্যাটেলাইট স্বত্ব বিক্রি থেকেও প্রচুর আয় করেন শাহরুখ খান। তার সিনেমাগুলো স্যাটেলাইট স্বত্ব চড়া দামে বিক্রি করেন তিনি। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এর স্বত্ব ৬৮ কোটি রুপিতে বিক্রি করেছিলেন জি সিনেমার কাছে। শর্ত ছিল চলচ্চিত্রটি যদি ১০০ কোটির বেশি আয় করে, তবে আরও বেশি অর্থ জি সিনেমাতে দিতে হবে। হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এমন শর্তে স্যাটেলাইট স্বত্ব বিক্রির ঘটনা ছিল এটাই প্রথম।

;