ফ্যানের বাতাসে মশারা স্বাচ্ছন্দ্যে উড়ে বেড়াতে পারে না। মশা যেহেতু খুবই হালকা প্রকৃতির, তাই ফ্যানের বাতাস সহজেই এদের গতি রোধ করতে পারে। মশার উপদ্রব দেখা দিলে কক্ষের ফ্যানটি হাই স্পিডে ছেড়ে রাখুন। উপদ্রব কমবে।
মশা হলুদ আলো সহ্য করতে পারে না। তাই আপনার বাড়িতে মশার খুব বেশি উপদ্রব হলে হলুদ রঙের বাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। অনেকের ধারণা হলো, মশা ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ আলোর প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে থাকে। তবে মশা সব রঙের আলো সহ্য করতে পারে না।
মশা থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে পারেন এক ধরনের ক্রিম। এমন অনেকে আছেন যারা কয়েল কিংবা স্প্রের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। তারা বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন মসকুইটো রিপেলেন্ট ক্রিম। শরীরের খোলা অংশে এই ক্রিম মেখে নিলেই মশা আর কাছে ঘেঁষবে না।
মশা গাঢ় রঙ বেশি পছন্দ করে। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলুন। মশা লাল, সবুজ, নীল রঙের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। তাই বাড়িতে থাকার সময় এসব রঙের পোশাক না পরাই ভালো।
সুগন্ধি ব্যবহার করেও দূরে রাখতে পারেন মশা। আমাদের কাছে পছন্দনীয় হলেও মশারা সুগন্ধি সহ্য করতে পারে না। আপনার ঘরে মশার উপদ্রব বেড়ে গেলে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। বডি স্প্রে, আতর, পারফিউম বেশ কার্যকরী এক্ষেত্রে।
মশা তাড়াতে কার্যকরী একটি সমাধান হতে পারে স্প্রে ব্যবহার। তবে স্প্রে ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। কক্ষে স্প্রে ব্যবহারের পর অন্তত আধা ঘণ্টা সেখানে প্রবেশ না করাই ভালো। স্প্রে যেন কোনোভাবে চোখে-নাকে বা মুখে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
মশা থেকে বাঁচতে সবচেয়ে সহজ এবং পুরোনো উপায় এটি। যদি বাড়িতে থাকেন, তবে সম্ভব হলে মশারি টাঙিয়ে নিন। মশারির ভেতরে থাকলে মশা যে আপনার কাছে ঘেঁষতে পারবে না, একথা কে না জানে!