পাকা বেলের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর ট্যানিন ক্রনিক পেট খারাপের সমস্যা কমায়। পাশাপাশি দূর করে গ্যাসট্রিক আলসার। এতে থাকা শাঁস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
উপকারী ফল শসা। সালাদে শসা খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকের। গরমের সময় শসা আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে। এতে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, কে, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও তামা। শসা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
গরমে আরেকটি উপকারী ফল হলো পেঁপে। এতে আছে ভিটামিন এ, সি ও ই। এসব ভিটামিন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পেঁপে ত্বক, চুল ও মাড়ির জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী।
গরমের ফল তরমুজ। এতে নব্বই শতাংশের বেশি পানি থাকে। তরমুজে ক্যালরির পরিমাণও কম। নিয়মিত তরমুজ খেলে কমে ওজন। এতে থাকা উচ্চ লাইকোপেন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
টমেটো হতে পারে গরমের সময়ে একটি আদর্শ ফল। এটি নানা পুষ্টিগুণে ভরা। নিয়মিত টমেটো খেলে চোখ ভালো থাকে, দূর হয় দুশ্চিন্তা। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দূরে রাখে টমেটো।
কমলার প্রায় ৮৭ শতাংশ পানি। এই ফল গরমে নিয়মিত খেলে তা শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র রাখে। এতে থাকা লাইমোনয়েড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। নিয়মিত কমলা খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।
গ্রীষ্মের ফল লিচু। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি ও ফাইবার। আরও রয়েছে ফসফরাস ও কপার। ত্বক ও চুল ভালো রাখতেও সহায়তা করে লিচু। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
গ্রীষ্মের ফল আম। এই ফলকে ফলের রাজাও বলা হয়ে থাকে। আমে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ও সি। এতে আরও রয়েছে আলফা ও বিটা ক্যারোটিন। নিয়মিত আম খেলে শরীর আর্দ্র থাকে, ভালো থাকে দৃষ্টিশক্তি।
জাম উপকারী একটি ফল। বিশেষ করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য জাম খুবই ভালো। এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন সি, থিয়ামিন, রাইবোফ্লাভিন শরীরের নানা উপকারে লাগে।
গরমে সতেজ ও সুস্থ থাকার জন্য খেতে পারেন লেবু। একগ্লাস লেবুর শরবত পান করলে আপনি অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন। লেবু পেটের নানা সমস্যাও দূরে রাখে। বদহজম, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া দূরে রাখে লেবু।