ভর্তুকির টাকা নগদ পেলে উপকৃত হবেন কৃষক
প্রতিবছর কৃষিতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, তা খরচ হয় না। কৃষি উপকরণের জন্য কিছুটা রেখে, ভর্তুকির বাকিটা যদি নগদ দেওয়া হয়, তাহলে কৃষক উপকৃত হবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বারসিক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) যৌথ আয়োজিত ‘বাজেট ২০২১-২০২২ : কৃষকের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, টাকার অংক বিবেচনা করলে এবারের বাজেটে কৃষি খাতে বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে পূর্ববর্তী বাজেটের বিষয়টি বিবেচেনা করলে এবার কৃষিতে বাজেট আরও বেশি গুরুত্ব পেতে পারত।
কৃষি মূল্য কমিশন গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি খুব দরকারি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি গঠিত হলে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্য মূল্য পেতেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে সরকার কৃষকের কাছ ধান সংগ্রহ করে সেটি পরিবর্তন করতে হবে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ও অন্যান্য ফসল সংগ্রহ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ও কৃষকের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এই করোনাকালে কৃষিঋণ সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করতে হবে এবং এই ঋণের সুদ অবশ্যই ৪ শতাংশ হওয়া উচিত।
আলোচনায় পবা চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, সরকার ঘোষিত এই বাজেট কৃষি ও কৃষককে নানাভাবে প্রভাবিত করবে। কৃষকের লাভ ও লোকসান এ বাজেটের ওপর নির্ভরশীল। এ বাজেট আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যকে প্রভাবিত করবে। তাই বাজেটে সুনির্দিষ্টভাবেই কৃষি ও কৃষকের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।
আলোচনায় বক্তারা ১২ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- কৃষিপণ্যেও সংরক্ষণাগার তৈরি করা; জাতীয় কৃষিমূল্য কমিশন গঠন করা; কৃষকের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা; কৃষককে খাদ্যযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া; বাজেটে কৃষির ওপর বরাদ্দ আরও বাড়ানো; নারীকেও কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া; কৃষিজমিতে ইটভাটা করা বন্ধ করা; কৃষি ভর্তুকি সুষম বণ্টন করা; রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষক সংগঠন করা; অঞ্চলভিত্তিক কৃষি প্রণোদনা দেওয়া; হাওর অঞ্চলের জন্য কৃষিতে আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা এবং বজ্রপাতে মারা যাওয়া কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
আলোচনা আরও যুক্ত ছিলেন, বারিসকের পরিচালক এবিএম তৌহিদুল আলম, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, বানিপার সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, মানিকগঞ্জের জেলা কৃষি উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি করম আলী মাস্টার প্রমুখ।
এমএইচএন/আরএইচ