আর্থিক প্রণোদনার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া শুরু হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ খামারি ৬০০ কোটি টাকা পাবেন। ইতিমধ্যে খামারি ও চাষিদের কাছে টাকা যাওয়া শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৫ ক্যাটাগরিতে দেশের ৪৬৬ উপজেলা থেকে যাচাই করে প্রাণিসম্পদ খাতের চার লাখ সাত হাজার ৪০২ জন খামারিকে (ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারি) ৪৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ৭৫ উপজেলার মৎস্য খাতের ৭৮ হাজার ৭৪ জনকে সাত ক্যাটাগরিতে ১০০ কোটি টাকা প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন এবং মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিসারিজ প্রকল্পের অধীনে এসব প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, করোনার কারণে দেশের খামারিরা বড় ধরণের বিপদে পড়েন। খামারি ও মৎস্য চাষিরা মাছ, মাংস, দুধ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ পণ্য বাজারজাত করা নিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন। এসব খামারিদের নানাভাবে উপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খামারিদের প্রণোদনা দেওয়া শুরু হলো।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে মোট চার লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৬ জন খামরিকে ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার ২৫০ টাকা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর বাইরে ইতিমধ্যে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের মধ্যে তিন লাখ এক হাজার ৩৫৩ জন ডেইরি খামারি, ৯৭ হাজার ৮২৩ জন মুরগি ও আট হাজার ২২৬ জন হাঁস খামারিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মোট ৩০ শতাংশ ডেইরি খামারি ও ৮০ শতাংশ পোল্ট্রি খামারি প্রণোদনার আওতায় এসেছে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খামারি ও জেলা প্রশাসকেরা অনুষ্ঠানে তাদের মত তুলে ধরেন। এতে খামারিরা সহজেই হাতের মুঠোয় নগদ সহায়তা পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বিকাশ, নগদ ও অগ্রণী ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে খামারি, মৎস্য চাষিদের মাঝে এ প্রণোদনার অর্থ চলে যাবে। ইতিমধ্যে অনেকেই নিজের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গেছে বলে জানিয়েছেন।

একে/ওএফ