সার পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। রোববার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, নিয়ন্ত্রণকক্ষ আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাজ করবে। কৃষি মন্ত্রণালয় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এ নিয়ন্ত্রণকক্ষ সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

সারবিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হলো। ফোন নম্বর ব্যস্ত থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

নিয়ন্ত্রণকক্ষে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের নাম ও ফোন নম্বর

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান শেখ বদিউল আলম, ০১৭১৩৫৯৩৪৮৭, গবেষণা কর্মকর্তা মো. নূরুন্নবী ০১৭১৬৪৬২২৭৭, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সার) আমিনুল ইসলাম, ০১৭২৪২৪৫৩৫৪ এবং অতিরিক্ত উপ-পরিচালক খন্দকার রাশেদ ইফতেখার ০১৮১৪ ৯৪৭০৫৪।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২৫ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুত ৬ লাখ ৫৬ হাজার টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন ও ডিএপি ৮ লাখ ২৩ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন।

সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন ও এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।

বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুত বেশি। বিগত বছরে এ সময়ে ইউরিয়া সারের মজুত ছিল ৫ লাখ ৮৯ হাজার টন, টিএসপি ২ লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টন ও এমওপি ১ লাখ ৯৬ হাজার টন।

বিসিআইসির প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছর ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ইউরিয়া সার বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮৯ টন, যা বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ হাজার ৬০০ টন বেশি। বিগত বছর এ সময়ে ইউরিয়া সার বিক্রি হয়েছিল ৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৯ টন।

এসএইচআর/আরএইচ