ইতোমধ্যেই হাওর এলাকায় নতুন বছরের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড় ও পাহাড়ি ঢল নামার আগেই কৃষকরা যেন সঠিক সময়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারে তার সব ধরনের ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তারই সাথে প্রতিবারের মতো হাওরের কৃষকের মাঝে জাপানি প্রযুক্তির ইয়ানমার হারভেস্টার নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রতিষ্ঠান এসিআই মটরস।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বোরো ধানকর্তন উৎসবের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসিআই মটরসের জাপানি ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার কৃষক মাঝে বিতরণ করেন। এরপর তিনি ইয়ানমার হারভেস্টার দিয়ে ধানকাটা পর্যবেক্ষণ করেন। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পানি সম্পদমন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী, সুনামগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমলচন্দ্রসহ আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।

দেশের জমি ও ফসল উপযোগী অত্যাধুনিক সেন্সর বিশিষ্ট ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা কাঁদা ও শুয়ে পড়া জমির ধান/গম কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি করা যায়। এক একর জমির ধান/গম কাটতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা ও জ্বালানি খরচ হয় মাত্র ৮-১০ লিটার ডিজেল। প্রতি একরে খরচ বাদে লাভ হয় সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। এতে ৬১ শতাংশ খরচ ও ৭০ শতাংশ শ্রম কম লাগে। এই হারভেস্টার দ্বারা দিনে প্রায় ৬-৭ একর জমির ধান কাটা যায়। এসিআই মটরস দেশব্যাপী বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই কম্বাইন হারভেস্টার ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্য দিকে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।

দেশের কৃষিযন্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসিআই মটরস জাপানি ইয়ানমারসহ অন্যান্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী আয়োজন করে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল  ইসলাম, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেনসহ কৃষি অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা।

ওএফ