ধানের ফাইল ছবি

গত এক বছরে সাতটি নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা। ধানের এসব জাত দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষক পর্যায়ে চাষাবাদও শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রি’র এসব গবেষণা কার্যক্রম নিয়ে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্রি’র নতুন জাত উদ্ভাবনসহ নানা বিষয় তুলে ধরবেন গবেষকেরা।

গাজীপুরে ব্রি মিলনায়তনে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া কর্মশালাটির উদ্বোধন করবেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

সার্বিক বিষয়ে ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. কৃঞ্চপদ হালদার ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, গত এক বছরে ব্রি’র সবধরনের কাজ তুলে ধরা হবে এ কর্মশালায়। ধান বিজ্ঞানীরা তুলে ধরবেন তাদের মতামত। এছাড়া চলতি বছরে (২০২১) ব্রি ১০০ জাতের ধান উদ্ভাবনসহ ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনাও তুলে ধরা হবে এ কর্মশালায়।

এ ধান বিজ্ঞানী বলেন, গত এক বছরে সাতটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রি ৯৩, ব্রি ৯৪, ব্রি ৯৫, ব্রি ৯৬, ব্রি ৯৭, ব্রি ৯৮ ও ব্রি ৯৯।

এসব জাতের মধ্যে ব্রি ৯৫ জাতের ধান দক্ষিণ অঞ্চলে চাষাবাদ উপযোগী। স্বর্ণা ধানের বিকল্প হিসেবে জাতটি কৃষকের চাহিদা পূরণ করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়া বোরো মৌসুমে লবণাক্ততা সহনশীল জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রি ৯৩, ৯৪ ও ৯৫ জাত। ব্রি ৯৮ জাতটি আউশের ভালো জাত হিসেবে কৃষকের আস্থা অর্জন করবে বলে জানান ধান বিজ্ঞানী ড. কৃঞ্চপদ হালদার।

ব্রি সূত্র জানায়, আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করবেন ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।

কর্মশালায় ‘গবেষণা অগ্রগতি ও অর্জন ২০১৯-২০’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. কৃষ্ণপদ হালদার। মূল প্রবন্ধে গত বছর ধান গবেষণা ও সম্প্রসারণ কাজের অর্জন ও অগ্রগতির বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করবেন ড. কৃঞ্চপদ হালদার।

এছাড়া কর্মশালার কারিগরি অধিবেশনগুলোতে গত এক বছরে ব্রির ১৯টি গবেষণা বিভাগ ও ৯টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা ফলাফল সংশ্লিষ্ট পর্যালোচনা বিশেষজ্ঞদের সামনে তুলে ধরা হবে।

একে/এফআর