কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, শিগগিরই কৃষি আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ হবে। এখন দরকার বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন : গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এ সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও বাণিজ্যিকীকরণে কাজ করেছে। কৃষি অচিরেই আধুনিক হবে, যান্ত্রিকীকরণ হবে। কিন্তু কৃষকের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি ও কৃষিপণ্যের ভ্যালু অ্যাডের জন্য বেসরকারি খাতের সহযোগিতা প্রয়োজন। বেসরকারি খাত কৃষিতে বিনিয়োগ করতে চায় না। কৃষিতে সম্ভাবনা অনেক, এখানে বিনিয়োগ দরকার। 

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে লাভজনক করতে গবেষণা ও বিনিয়োগে প্রাইভেট সেক্টরকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করছে। এ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও কৃষি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ২০ শতাংশ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে।

বেসরকারি খাতকে এ সুযোগের পুরোপুরি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী প্রয়োজনে আরও সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার অন্যতম ভিত্তি ছিল কৃষি। বঙ্গবন্ধু দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কৃষি ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। 

তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলেই কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ আজ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির প্রেসিডেন্ট হুমায়ুন রশিদ। এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইবিএফবির গভর্নমেন্টাল রিলেশন অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি কমিটির চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশিদ বীর প্রতীক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট এমএস সিদ্দিকী, এসিআই এগ্রি বিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারি।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম।

একে/ওএফ