নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভারতে চলছে সপ্তাহব্যাপী নদী উৎসব। ১৬ ডিসেম্বর শুরু হয়েছে এ উৎসব। উৎসবের তৃতীয় দিন গতকাল (রোববার)   ১৬টিরও বেশি রাজ্য এবং ২১টি জেলায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

উত্তর কাশি, চামোলি, রুদ্র প্রয়াগ, নৈনিতাল ও উত্তরাখন্ডের রামনগর এবং আলমোরা থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী, মথুরা, প্রয়াগরাজ, আগ্রা, অযোধ্যা, শাহজাহানপুর, বালিয়া, পশ্চিমবঙ্গে হুগলী, বর্ধমান, মালদা, ওড়িশার সম্বলপুর, বিহারের ভাগলপুর, হরিয়ানার পানীপথ, শোনপথ, লে-লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মির এবং কেরালার এর্নাকুলামে নদী উৎসব উদযাপন করা হয়। এই উৎসবে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরের বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগ, জেলা প্রশাসন, বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, নেহরু যুব কেন্দ্র, গঙ্গা চিন্তামঞ্চ, গঙ্গা প্রহরী ইত্যাদি সংস্থাও এতে অংশ নেয়। 
 
অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, গঙ্গা আরতি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শ্লোগান রচনা, নদী পুজো, নৌকাবাইচ ইত্যাদি আয়োজন করা হয় । 
 
চলতি বছরের ২৬ আগস্ট ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বছরে অন্তত একবার নদী উৎসব আয়োজন করার জন্য দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা দেশের সমস্ত নদীকে ঘিরে এই উৎসব উদযাপনের আয়োজন করেছে। 
 
ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা, জলশক্তি মন্ত্রণালয় এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে  এই উৎসব আয়োজন করেছে। ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু, নর্মদা, সবরমতী, মহানদী, কৃষ্ণা, গোদাবরী, কাবেরী, গঙ্গা, যমুনাসহ বেশ ক’টি নদীকে ঘিরে এই উৎসব চলছে। 

স্বচ্ছতা, দেশপ্রেম, প্রকৃতি ও পরিবেশ বিদ্যা, ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতা – এই চার বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই নদী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। 

এনএফ