দেশে জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ উৎসাহিত করতে এ ধানের চাষে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। কিন্তু একটি বিশেষ ধরনের ধান চাষে কেন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে? 

বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সরকারি তথ্য বলছে, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৪৪ শতাংশ শিশু এবং প্রায় সাড়ে ৫৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নারী জিংকের অভাবজনিত রোগে ভুগছে।

শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। 

এ কারণে করোনা মহামারি চলাকালে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জিংক ট্যাবলেট সেবন করার পরামর্শ দিতে দেখা গেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকদেরও।

জিংকের অভাবে প্রাপ্তবয়স্ক নারীর বন্ধাত্ব্য দেখা দিতে পারে। 

জিংক সমৃদ্ধ চালের মাধ্যমে বাচ্চাদের এবং মায়েদের শরীরের জিংকের ঘাটতি প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ সম্ভব বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্নুজান খানম।

অর্থাৎ কেবল বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হিসেবেই নয়, স্বাস্থ্যগত কারণেও এই বিশেষ চালটির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। 

দেশে বর্তমানে মোট ছয় জাতের জিংক সমৃদ্ধ ধানের উৎপাদন হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলেই এই ধানের চাষ সম্ভব। তবে পাহাড়ি মাটি এবং লবণাক্ত মাটিতে এ ধান চাষ করা যাবে না।

সূত্র : বিবিসি বাংলা। 

এনএফ