চলতি বছরের শুরুর দিকে আসার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কিছুটা পিছিয়েছে এয়ার অ্যাস্ট্রার ফ্লাইট পরিচালনা। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ বহরে যুক্ত হচ্ছে ৩টি এয়ারক্রাফট। ফ্লাইট পরিচালনার আনুষ্ঠানিকতাসহ এয়ার অ্যাস্ট্রার সবধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।

বুধবার (১৫ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এয়ার অ্যাস্ট্রা জানায়, বাংলাদেশে প্রথম ফ্লাইট পরিচালন কার্যক্রম শুরুর আগে থেকেই বিশ্বমানের আএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (IOSA) সনদপ্রাপ্তির প্রস্তুতি শুরু করেছে এয়ার অ্যাস্ট্রা। গত ১৩ জুন (সোমবার) এয়ারলাইন্সটির নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টারে আইএটিএ-এর ইন্সট্রাক্টর লুইস রামোস আলভেস এর অধীনে পাঁচ দিনব্যাপী IOSA এয়ারলাইন অডিটর ট্রেনিং, মডিউল-১ প্রশিক্ষণ শুরুর মধ্য দিয়ে এয়ার অ্যাস্ট্রা IOSA সনদপ্রাপ্তির প্রয়াস গ্রহণ করে। 

প্রশিক্ষণে মোট ১৭ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে আছেন এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ, ফ্লাইট পরিচালনা পরিচালক ক্যাপ্টেন ফরহাত জামিল, প্রকৌশলী পরিচালক গাজী মাহমুদ ইকবাল, কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স প্রধান মো. শফিকুল আলম, গ্রাউন্ড অপারেশন মহাব্যবস্থাপক জাফর উজ্জামান, ফ্লাইট সেফটি প্রধান ক্যাপ্টেন খালিদ শামস্ ও এয়ারলাইন সিকিউরিটি মহাব্যবস্থাপক হাসিব উল আলমসহ অন্যান্যরা। 

ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) প্রণোদিত আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (IOSA) একটি বিশ্বমানের মানদণ্ড নিরুপণী অডিট, যা এয়ারলাইন্সের নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিত করে। বিশ্বের সব বড় এয়ারলাইন্স কোম্পানি (এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স) IOSA সনদপ্রাপ্তির মাধ্যমে তাদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত ফ্লাইট পরিচালনা নিশ্চিত করে। 

এয়ার অ্যাস্ট্রা জানায়, কোভিড-১৯ পরবর্তী অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে এয়ারক্রাফট সংগ্রহে বিলম্ব হলেও তা কাটিয়ে উঠে এবছর সেপ্টেম্বর নাগাদ ৩টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে এয়ার অ্যাস্ট্রা। 

ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট। এয়ার অ্যাস্ট্রার পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ এর শেষ নাগাদ এয়ারলাইনটির বহরে আরও ৫টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যোগ হবে। 

এআর/জেডএস