যথাসময়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না ভারতীয় বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো। দেশটির বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ইন্ডিগোর মাত্র ৪৫.৫ শতাংশ বিমান যথাসময়ে উড়েছে। রোববারও তাদের বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি।

ফ্লাইট ছেড়ে যেতে এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে ইন্ডিগোর রিপোর্ট তলব করেছে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। সূত্রের খবর, অনেক ক্যাবিন ক্রু ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েছেন। তারা কাজ যেতে পারেননি। তার কারণেই নাকি বেশিরভাগ ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে উড়তে পারেনি।

বেসরকারি এই সংস্থা দিনে প্রায় ১৬০০টি বিমান চালায়। কিন্তু কর্মী সংকটে মাত্র ৭২৮টির মতো বিমান যথাসময়ে চালাতে পেরেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ইন্ডিগোর ৪৫.৫ শতাংশ বিমান যথাসময় যাত্রা করেছে। রোববারও বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে এ নিয়ে অভিযোগও করেছেন। প্রকাশ করেছেন ক্ষোভ।

এমন পরিস্থিতিতে রোববার ইন্ডিগোর রিপোর্ট তলব করল বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এক ডিজিসিএ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা বিষয়টি দেখেছি এবং সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার থেকে রিপোর্ট তলব করেছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ১১টি বিমান বাতিল করা হয়েছে। ৩২০টি বিমান দেরি করেছে। শনিবার ৫৬টি বিমান বাতিল করা হয়েছিল। দেরি করেছিল ৮৪২টি বিমান।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারির সময় বেতন কমিয়ে দেওয়ায় ইন্ডিগোর কর্মীরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তা নিয়ে ইন্ডিগোর কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছিল। তারা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। এখন সেই সুযোগ পেয়েছেন। নিয়োগের জন্য টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ওয়াক-ইন-ইন্টারভিউ চালানোয় কর্মীদের অনেকে ‘সিক লিভ’ নিয়ে সেখানে গিয়েছেন।  শনিবার দ্বিতীয় পর্যায়ে ক্যাবিন ক্রু নিয়োগ প্রক্রিয়া চলেছিল।

এসএসএইচ