স্কটল্যান্ড থেকে যে বিমানে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই বিমানটি ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ট্র্যাক করা হয়েছে। ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ এ তথ্য দিয়েছে।  

ওয়েবসাইটটি বলছে, এডিনবার্গ থেকে বিমানটি উড্ডয়নের মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বিমানটির অবস্থান জানার (ট্র্যাক) চেষ্টা করেন। একসঙ্গে এত সংখ্যক মানুষ ওয়েবসাইট ভিজিটের এর সেবা ব্যাহত হয়। 

ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইট ও তাদের অ্যাপ থেকে ৪৭ লাখের বেশি মানুষ বিমাটির অবস্থান জানার চেষ্টা করেন। আর ২ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ বিমানটির অবস্থান জানার চেষ্টা করেন ইউটিউব থেকে। 

এরআগে গত মাসে মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের বিমানটির অবস্থান জানার চেষ্টা করেছিলেন প্রায় ২২ লাখ মানুষ। তখন সেটিই ছিল সর্বোচ্চ।  

রানির কফিন বহনকারী বিমানটিতে ছিলেন প্রিন্সেস অ্যানি ও তার স্বামী স্যার তিমোথি লরেন্স।  

স্থানীয় সময় ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে রানির কফিন বাকিংহাম প্রসাদে পৌঁছায়। রাজা তৃতীয় চার্লস ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা রানির কফিনটি গ্রহণ করেন। 

১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ওয়েস্টমিনস্টার হলে রানি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত থাকবেন। ব্রিটিশ সরকারের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই গ্র্যান্ড হলটি ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদের প্রাচীনতম অংশ।

২০০২ সালে রাজপরিবারের যে সদস্যকে সর্বশেষ সেখানে শায়িত রাখা হয়েছিল তিনি হলেন কুইন মাদার। সেসময় দুই লাখের বেশি মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন। ১১শ শতকের হলটির মধ্যযুগীয় কাঠের ছাদের নিচে ক্যাটাফাল্কে নামে পরিচিত বেদিতে রাখা থাকবে রানির কফিনটি।

এই পুরো সময় হলটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে যাতে করে জনসাধারণ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন। রাজকীয় পতাকা রয়াল স্ট্যান্ডার্ডে রানির কফিনটি আচ্ছাদিত থাকবে এবং কফিনটি ওয়েস্টমিনস্টার হলে আনার পর তার ওপর বসানো থাকবে রাজ মুকুট ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন, রাজকীয় গোলক এবং রাজদণ্ড। 

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সিংহাসনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আসীন ও বিশ্বের প্রবীণতম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৯৬ বছর। রানি ১৯৫২ সালে সিংহাসনে আসীন হন এবং তার জীবদ্দশায় বিশাল সামাজিক পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছিলেন।

এনএফ