বর্তমানে এডিস মশা ও আসন্ন শীত মৌসুমে কিউলেক্স মশা নিধনে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মশা নিরোধক মাছ ছাড়া ও গাছও লাগানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় ও মনিটরিংয়ের মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী মশা নিধনে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, সেসব সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন সকালে ওষুধ ব্যবহার করে লার্ভিসাইড স্প্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে বারবার ইনসেক্টিসাইড স্প্রে/ফগিং কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিমানবন্দরের যাত্রীদের জন্য গেট খোলা রাখতে হয়, সে কারণে সবগুলো প্রবেশ ও বহির্গমন গেটের দু'পাশে ভোর এবং সন্ধ্যায় ধূপ দিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে মস্কিউটো ট্র্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক জানান, বায়োকন্ট্রোল প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কয়েক মাস আগে বিমানবন্দরের বিভিন্ন খাল ও পুকুরে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। মশা নিরোধক ফুলের গাছ যেমন— গাঁদা, লেমন গ্রাস ও তুলসি গাছ রোপণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরের অভ্যন্তরের খাল ও পুকুরগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় যা মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্স কর্তৃক মনিটরিং করা হয়। সেই সঙ্গে বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকার বর্জ্য নিয়মিতভাবে অপসারণ করা হয়ে থাকে।

শাহজালাল বিমানবন্দর জানায়, গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে দুটি জরিপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জরিপ দুটির ফলাফলে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে পরিচ্ছন্নতা ও লার্ভার নিয়ন্ত্রণ পূর্বের যেকোনো সময়ের চাইতে 'সন্তোষজনক' বলে উঠে এসেছে।

যেহেতু বিমানবন্দরের আশেপাশের ১-২ কিলোমিটার দূর থেকেও মশার প্রকোপ দেখা দিতে পারে। সে কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দর সংলগ্ন ডিএনসিসির ১, ৬ ও ১৭ নং ওয়ার্ডে মশক নিধনে পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। 

এআর/কেএ