বিমান পরিবহনে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) র‍্যাংকিংয়ে বড় উত্থান হয়েছে ভারতের। এক লাফে ১০২ থেকে ৪৮ নম্বরে এসেছে তারা। র‍্যাংকিংয়ে এটিই ভারতের সর্বোচ্চ স্থান।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিজিসিএ) প্রধান অরুণ কুমার জানিয়েছেন, এবার ভারতের ‘এফেকটিভ ইমপ্লিমেটেশন’ স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮৫.৪ শতাংশ। তার ফলে এক লাফে ভারত ৪৮ নম্বরে উঠে এসেছে, যা ২০১৮ সালে ১০২ ছিল। সেই সময় ভারতের স্কোর ছিল ৬৯.৯৫ শতাংশ।

ডিজিসিএয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের র‍্যাংকিং অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে সুরক্ষিত বিমান পরিবহনের নিরিখে শীর্ষে আছে মালয়েশিয়া। তারপর আছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (দ্বিতীয়) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (তৃতীয়)। যুক্তরাষ্ট্র আছে ২২তম স্থানে। চীন ৪৯তম, ইজরায়েল ৫০তম এবং তুরস্ক ৫১তম স্থানে আছে। অর্থাৎ বিমান পরিবহনে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভারতের থেকে পিছিয়ে আছে ওই তিনটি দেশ (চীন, ইসরায়েল এবং তুরস্ক)।

এ বিষয়ে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান বলেছেন, আমরা এখন শৃঙ্গে আছি। নতুন যে তকমা মিলেছে, সেটা বজায় রাখাই হলো মূল চ্যালেঞ্জ। আমরা সবপক্ষকে আশ্বস্ত করছি যে ভারতের র‍্যাংকিং আরও ভালো করার জন্য যেকোনো কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে ডিজিসিএ।

গত ৯ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে অডিট করেছিল ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন। সংগঠন, ব্যক্তিগত লাইসেন্সিং, এরোড্রোম, পরিষেবার মতো ছয়টি বিষয়ের ওপর অডিট করা হয়। তবে বিমান দুর্ঘটনা ও তদন্ত এবং এয়ার নেভিগেশনের অডিট করা হয়নি।

ডিজিসিএ প্রধান বলেন, সব নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কি না তা দেখতে দিল্লি বিমানবন্দর, স্পাইসজেট, চার্টার পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল, কমিউনিকেশন নেভিগেশন ও অ্যান্ড সার্ভিলেন্স খতিয়ে দেখেছে টিম।

এসএসএইচ