২১ শিক্ষার্থীকে পাইলট বানাতে তাদের সব ধরনের খরচ বহন করে প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সেই ধারাবাহিকতায় ৩০ মে দ্বিতীয় ধাপে ১১ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।

এর আগে গত ২ মে প্রথম ধাপে ১০ জন শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ফ্লাইট ট্রেনিং কোর্স শেষ করার পর ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (এফএএসিপিএল) প্রাপ্ত হবেন তারা।

দীর্ঘ এক বছরের নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানো হচ্ছে। দেশে ফিরে তারা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে যোগদান করবেন।

আরও পড়ুন : পাইলট বানাতে ২১ জনকে নিজ খরচে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে ইউএস-বাংলা

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, ২০২২ সালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স নিজ খরচে পাইলট বানানোর উদ্যোগ নেয়। এরপর নানা প্রক্রিয়ায় ৬ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে ২১ জনকে নির্বাচন করে তাদের ‘ফ্লাইং একাডেমিতে পাঠানোর যোগ্য’ বলে উল্লেখ করা হয়। বাছাই করা ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন তরুণ এবং একজন তরুণী।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জিএম-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ২০২২ সালের এপ্রিলে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহযোগিতায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রার্থী নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ২১ জনকে বাছাই করা হয়। তারা ফ্লোরিডায় কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স ট্রেনিং শেষ করে দেশে ফিরবেন এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করবেন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, শিক্ষার্থীদের পাইলট হওয়ার পূর্বশর্ত ছিল বিজ্ঞান বিভাগে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানসহ এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অথবা এ লেভেলে ন্যূনতম দুই বিষয়ে (গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান) গ্রেড-বি পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়া। এছাড়াও স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানের স্নাতকরাও আবেদন করেছেন। আবেদনকারীদের সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর ও উচ্চতা ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবেদন করা শিক্ষার্থীদের আইকিউ টেস্ট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।

/এমএইচএন/এমএসি/এসএসএইচ/