হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল দুটি উড়োজাহাজ। অনুমতি ছাড়া বিমানের একটি ফ্লাইট রানওয়েতে ঢুকে পড়ার পর অবতরণের অনুমতি পাওয়া নভোএয়ারের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

তবে শেষ পর্যন্ত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) দ্রুত পদক্ষেপের ফলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান বিমান ও নভোএয়ারের ফ্লাইটের যাত্রীরা। 

ওই দুই ফ্লাইটে কমপক্ষে সাড়ে চারশ যাত্রী ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৮ জুলাই, মঙ্গলবার। 

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ঢাকার বিমানবন্দরের রানওয়েতে নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট অবতরণ করতে চাইলে বিমানবন্দরের এটিসি সেটিকে অনুমতি দেয়। নভোএয়ারের ফ্লাইটের অবতরণের আগ মুহূর্তে এটিসির অনুমতি ছাড়াই বিমানের ঢাকা থেকে মদিনাগামী একটি ফ্লাইট রানওয়েতে ঢুকে পড়ে এবং উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেয়।

রানওয়েতে বিমানের ফ্লাইট দেখে দ্রুত নভোএয়ারের প্লেনটিকে আকাশে চক্কর দেওয়ার (গো অ্যারাউন্ড) নির্দেশ দেয় এটিসি। ফলে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বিমান ও নভোএয়ারের দুটি ফ্লাইটই। .

• ৩৮৩ যাত্রী নিয়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ল সৌদি এয়ারলাইন্স

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মদিনাগামী ফ্লাইটটিতে ৪১৯ জন যাত্রী ছিলেন। এটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের এয়ারক্রাফট ছিল। ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ইন কমান্ড ছিলেন ক্যাপ্টেন শাহদাত হোসেন এবং ফার্স্ট অফিসার ছিলেন ক্যাপ্টেন মো. জামাল।

মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়টি অবগত করে বিমানের শিডিউলিং বিভাগে একটি চিঠি দেয় ফ্লাইট সেফটি বিভাগ। চিঠিতে বিমানের ফ্লাইট সেফটি বিভাগের প্রধানের স্বাক্ষর রয়েছে। ঘটনার বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, একইদিন মদিনা বিমানবন্দরে অবতরণের পর ভুল জায়গায় বিমান পার্কিং করেন বিমানের ওই দুই পাইলট। একাধিক ভুলের কারণে দুই পাইলটকে ফ্লাইট সিডিউলিংয়ে না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এভিয়েশনের ভাষায় তাদের ‘গ্রাউন্ডেড’ করা হয়েছে বা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিমানের ইস্যুকৃত চিঠিটি ঢাকা পোস্টের হাতে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে বিমানের এমডি ও সিইও শফিউল আজিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি বিমানের মিডিয়া বিভাগের কোনো কর্মকর্তাও।

ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে বাংলাদেশ বিমান।

এআর/এনএফ