বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেছেন, আমাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধিতে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (আইকাও) আমাদের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও আইকাওয়ের বিভিন্ন আইনগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ৫৮তম ডিজিসিএ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তারা আমাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। এর জন্য আমাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক সাক্ষরিত হয়েছে। এই ট্রেনিং সার্ভিস অ্যারেঞ্জমেন্টের মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ সহযোগিতা নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে এভিয়েশন খাতে দক্ষ ও সুপ্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করার পথ সুগম হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি,  আমাদের এভিয়েশন খাত এগিয়ে যাচ্ছে, তারা সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন ঢাকায় বিশ্বের ৪৭ দেশের ৫০০ এভিয়েশন কর্তার মিলনমেলা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনের মাধ্যমে। তারা বলেছেন- বাংলাদেশের এই খাত সঠিক পথেই যাচ্ছে। এভিয়েশন খাতে সক্ষমতার পাশাপাশি সঠিক শিক্ষা প্রয়োজন। তারা আশা করছে বাংলাদেশ এই খাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, কিছু এয়ায়লাইন্স সার্ভিস থেকে বসে গেছে। সিভিল এভিয়েশনের ভুল ছিল আমরা তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আগেই ভালোভাবে চেক করিনি। আসলে তাদের ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণেই হয়তো বা তারা সার্ভিসে থাকতে পারেনি। আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়গুলো আরও যত্ন সহকারে দেখব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থার (আইকাও) সেক্রেটারি জেনারেল হুয়ান কার্লোস সালাজার।

এর আগে ঢাকায় বিশ্বের ৪৭ দেশের ৫০০ এভিয়েশন কর্তার মিলনমেলা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।

সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেন।

এ বছরে সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়- প্রোমোটিং আইকাও : জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি প্রোগ্রাম ইন কনজাংশন উইং নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস ইনিশিয়েটিভ। প্রতিপাদ্যের প্রথম উদ্দেশ্য হলো জেন্ডার সমতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করা এবং অপরটি হলো এভিয়েশন সেক্টরে আগামী দিনের জন্য দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী গড়ে তোলা। 

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাও’র সদস্যপদ লাভ করে।

এএসএস/এমজে