এভিয়েশন খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এটিজেএফবি এভিয়েট্যুর উইমেন্স আইকন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) দিলরুবা পারভীনসহ ১০ নারী।

বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামশন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

এভিয়েশন ও পর্যটন খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) আয়োজনে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও শফিউল আজিম, এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বাতেন বিপ্লব।

অনুষ্ঠানে এভিয়েশন উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) দিলরুবা পারভীন, ট্যুরিজম উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বাটারফ্লাই পার্কের চেয়ারম্যান মনোয়ারা হাকিম আলী, লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে আ্যাটাবের সাধারণ সম্পাদক আফসিয়া জান্নাত সালেহা, সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে গ্রিন টিভির নির্বাহী সম্পাদক নাদিরা কিরণ, এভিয়েশন ট্রেইনার ক্যাটাগরিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ট্রেনিং সেন্টারের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রাশেদা কবির চৌধুরী, পাইলট ক্যাটাগরিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তাসমিন দোজা, ওটিএ উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে শেয়ার ট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী সাদিয়া হক, অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ক্যাটাগরিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সামিয়া হালিম কবির, কেবিনক্রু ক্যাটাগরিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কেবিনক্রু ফারহানা ইসলাম নুসরাত, ক্যালিনারি ট্যুরিজম ক্যাটাগরিতে ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের ট্রেইনার জাহেদা বেগম পুরস্কার পান।

অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, নারীদের যখনই সুযোগ দেওয়া হয়েছে তখনই তারা ভালো করেছে এবং এগিয়ে গিয়েছে। আজকের অ্যাওয়ার্ডটিও একটি ইউনিক অ্যাওয়ার্ড। এই আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তাই তাই করব। নারীদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না।

তিনি বলেন, একটা সময় নারীদের অগ্রযাত্রায় প্রধান অন্তরায় ছিল সরকার এবং তার পরিবার। এখন সেটি কেটে গিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার সরকার বদ্ধপরিকর। আমি প্রত্যাশা করি এভিয়েশন সেক্টরে মেয়েরা আরও এগিয়ে যাবে। এজন্য যে ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া প্রয়োজন সেটি আমরা দেব।

বেবিচক চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান বলেন, এ ধরনের একটি সম্মাননার আয়োজন করায় এটিজেএফবিকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে প্রায় ৬ শতাংশ নারীকর্মী রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এই সেক্টরে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী কাজ করছে, যা প্রায় ১২ শতাংশ। বাংলাদেশে এই সেক্টরে নারী কর্মী আরও বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।

তিনি আরো বলেন, শুধু পাইলট-ক্রু নয়, এভিয়েশন খাতের টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার, কন্ট্রোলারের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।

আরএইচটি/এআর/এসএম