চলমান সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যেই ১ জুন থেকে দেশের জনপ্রিয় অভ্যন্তরীণ রুট কক্সবাজারে ফ্লাইট চালু হয়েছে। পর্যটকদের কাছে এটি পছন্দের রুট হলেও ফ্লাইট চালুর প্রথম দু'দিনে অর্ধেক যাত্রী পেয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এয়ারলাইন্সগুলো এ অর্ধেক যাত্রীকেই আশানুরূপ মনে করছে।

এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, বর্তমানে কক্সবাজারের অনেক বিনোদন-কেন্দ্র বন্ধ। প্রধান আকর্ষণ সমুদ্রের পাড়েও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। তাছাড়া ঘোরাফেরা থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত সবক্ষেত্রই সীমিত করা হয়েছে। তাই বর্তমানে যাত্রী কিছুটা কম। তবে গতকালের চেয়ে আজ যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। জুনের ৬ তারিখের পর (সরকারি বিধিনিষেধ শেষে) এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট-ভর্তি যাত্রী পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। 

বর্তমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার।

কক্সবাজারের ফ্লাইট নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ ফ্লাইট চালুর দ্বিতীয় দিন। গতকালের থেকে আজ যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। গড়ে আমরা প্রতি ফ্লাইটের ৫০ ভাগ যাত্রী পেয়েছি।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে মূলত পর্যটক যাত্রীরা চলাফেরা করে। সেখানে পর্যটকদের সুযোগ সুবিধাগুলো এখনও সীমিত রয়েছে। সেগুলো পুরোপুরি চালু হলে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।

নভোএয়ারের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের প্রধান মেজবাহ-উল-ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন পর ফ্লাইট চলাচল মাত্র শুরু হয়েছে। প্রতি ফ্লাইটের ৬০ ভাগ সিট ভরা থাকছে, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খারাপ নয়। সপ্তাহখানেকের মধ্যে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করছি।

নভোএয়ার কক্সবাজারের প্লেন-ভাড়ার সঙ্গে ৩ দিন ২ রাত থাকা, এয়ারপোর্ট-হোটেল ট্রান্সফার এবং সকালের নাস্তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। প্যাকেজ শুরু সর্বনিম্ন ১১ হাজার ৩৭৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৬৮ টাকা।

৩ জুন থেকে দিনে ২ ফ্লাইট পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। ২২ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট চালু করা হলেও কক্সবাজার রুটের ফ্লাইট বন্ধ ছিল। অবশেষে ১ জুন থেকে ফ্লাইট শুরু করে তারা।

এআর/এসএম