করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে ভারতসহ ৮টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

সোমবার (৫ জুলাই) এক সার্কুলারে এতথ্য জানানো হয়েছে।

দেশগুলো হলো- ভারত, বতসোয়ানা, নেপাল, মঙ্গলিয়া, নামিবিয়া, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়া।

সার্কুলারে এই ৮ দেশের বিষয়ে বেবিচক জানায়, দেশগুলো থেকে কোনো যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এমনকি বাংলাদেশ থেকে এসব দেশে কেউ যেতেও পারবে না। এছাড়াও যারা গত ১৫ দিনের মধ্যে এই ৮ দেশ ভ্রমণ করেছেন তাদেরও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভিজিটররা (পর্যটক) সেসব দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাদের বাংলাদেশে পা রাখার আগেই ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেল বুকিং করতে হবে।

এছাড়াও সার্কুলারে আরও ১২টি দেশের বিষয়ে পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে- আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, জর্জিয়া, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং উরুগুয়ে। বেবিচক জানায়, এই ১২ দেশ থেকে আগত যাত্রীদের যদি করোনার প্রতিরোধকারী টিকার ডোজ সম্পন্ন হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তাদের বাংলাদেশে ১৪ দিনের কঠোর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

তবে এই ১২ দেশ থেকে আগত কেউ যদি ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ ডোজ সম্পন্ন না করে অথবা কারো মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ-উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাকে বাংলাদেশে ফিরে সরকার নির্ধারিত সেন্টারে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এই ২০ দেশ ছাড়া অন্য যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে এলে যাত্রীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে কারো মধ্যে করোনার উপসর্গ দেখা যায় তাহলে তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বাংলাদেশ আসা এবং ত্যাগ করা প্রতিটি যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টা আগে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে।

আদেশটি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

এআর/জেডএস