আগামী দুই বছরের মধ্যে আরও ১৬টি এয়ারক্রাফট কেনার পরিকল্পনা করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এসব এয়ারক্রাফট দিয়ে ঢাকা থেকে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ ইতালির রোম, কানাডার টরন্টো ও লন্ডনের হিথ্রো রুটে ফ্লাইট চালাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যশোর বিমানবন্দরে যশোর থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটের ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব পরিকল্পনার কথা জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে মাত্র দুটি এয়ারক্রাফট ও ১৫০ জন স্টাফ নিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির বহরে ১৪টি নতুন এয়ারক্রাফট রয়েছে। আমরা এর পরিধি আরও বড় করব। আগামী দুই বছরের মধ্যে আরও ১৬টি ব্র্যান্ড নিউ এয়ারক্রাফট ক্রয় করে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশসহ ইতালির রোম, কানাডার টরন্টো ও লন্ডনের হিথ্রোর মতো রুটে উড়বে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এসব এয়ারক্রাফট।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এমডি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এই দুই এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেটের মাত্র ১৮ থেকে ২০ শতাংশ শেয়ার হোল্ড করে (আকাশপথে যাত্রী বহন করে)। বাকি ৮০ শতাংশ যাত্রী বহন করে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। একজন প্রবাসী যখন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স বা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের প্লেনে করে দেশে ফেরেন, তখন তাদের অর্জিত রেমিট্যান্স ওই দেশেই থেকে যায়। আমরা এসব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে চার হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রিটেইন করছি। আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে ফ্লাইট বৃদ্ধি করে ৫০শতাংশ মার্কেট শেয়ার কীভাবে রাখা যায়, আমরা সেই পরিকল্পনা করছি।

তিনি বলেন, দুবাই শহর সবার কাছে পরিচিত এমিরেটস এয়ারলাইন্সের জন্য। আমরা চাই এক সময়ে গোটা পৃথিবীর সবাই ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে চিনবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজার রুটে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

ইউএস-বাংলা এয়ালাইন্সের বিমান বহরে ১৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যার মধ্যে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ ও ৩টি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০।

এআর/ওএফ