আগামী বছরের শুরুতে (২০২২) শ্রীলঙ্কার কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দা, দাম্মাম, মদিনা, রিয়াদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ও আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।

সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২০২২ সাল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং বছর। আমরা গত আট বছরের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে এ বছর নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি। চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলংকার কলম্বোতে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া একই বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন অনেক গন্তব্যে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলার। এ লক্ষ্যে আগামী বছর এয়ারলাইন্সটির বহরে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হতে যাচ্ছে।

কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের মধ্যে যদি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন ক্যাটাগরি-ওয়ান অর্জন করতে পারে তাহলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। এছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য বিশেষ করে লন্ডন, আমস্টারডাম, রোম, প্যারিসসহ বেশ কয়েকটি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনাও রয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বহরে আরো ৮টি এয়ারবাস, ৩২১-এলআর সিরিজের এয়ারক্রাফট যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনা পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া দুবাই, দোহা, মাস্কাট, এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও চীনের গুয়াংজুতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আশা করছি শিগগিরই ব্যাংকক রুটেও ফ্লাইট শুরু হবে। 

করোনাকালে সারা বিশ্বের আকাশপথ যখন স্থবির ছিল তখনকার দিনে ইউএস-বাংলার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলা দুবাই, আবুধাবি, দিল্লি, চেন্নাই, মালে, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, হ্যানয়, এমনকি ফ্রান্সের প্যারিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫০টির বেশি স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। কোভিড মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ সরকার তথা সিভিল এভিয়েশন অথরিটির অনুমতি নিয়ে ইউএস-বাংলা প্যাসেঞ্জার এয়ারক্রাফটগুলোকে সাময়িকভাবে কার্গো এয়ারক্রাফটে রূপান্তর করে আয়ের পথকে কিছুটা সচল রাখার চেষ্টা করেছে।

দেশের এভিয়েশন ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। বিশেষ করে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েল প্রাইসকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরূপণ করা ইত্যাদি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো গঠনমূলক লেখনির মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। 

বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ১৪টি উড়োজাহাজ রয়েছে।

এআর/জেডএস/জেএস