করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বিগ্ন। আমরাও সতর্ক রয়েছি। আরও সতর্ক হতে হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় কমিটি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করছে। আমাদের সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ফেরা প্রত্যেক যাত্রীর এক্সট্রা কেয়ার (অতিরিক্ত যত্ন/যাচাই-বাছাই) নেওয়া হবে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশের অর্জন’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানবন্দরে প্রত্যেক যাত্রীর ক্ষেত্রেই এক্সট্রা কেয়ার নেওয়া হবে। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করব। পাশাপাশি যেসব যাত্রী বিদেশ থেকে আসবেন তারাও নিজেদের আইসোলেশনে রাখবেন বলে আশা রাখছি। তারা দেশে ফিরে নিশ্চয়ই তাদের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনের কাছে যাবেন। তাই অন্তত পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও তাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করোনার নতুন এ ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করব।

যাত্রীদের এক্সট্রা কেয়ারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের সরাসরি ফ্লাইট নেই। সেখান থেকে কেউ বাংলাদেশে আসতে চাইলে তাকে অন্য কোনো গন্তব্য হয়ে আসতে হবে। সিভিল এভিয়েশনকে (বেবিচক) নির্দেশনা দেওয়া আছে। যারাই আসে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও সব যাত্রীকে এখন থেকেই হেলথ প্রোটোকল মানতে হবে। তাদের মেডিকেল ফরম (হেলথ ডিক্লারেশন ফরম) পূরণ করতে হবে,পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং করা হবে।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব। ওমিক্রন প্রতিরোধে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরও নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে।

গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন এ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়। একদিন পর এই ধরনকে ওমিক্রন নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার এ নতুন ধরনের সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় সুইজারল্যান্ডে সরকারি সফরে যাত্রা করেও মাঝপথ থেকে দেশে ফিরে এসেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এআর/এসকেডি