স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার ফলাফল
দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে—
শাকিব: তুই তোর বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করিস?
জলিল: হ্যাঁ, করি। তবে প্রতিবার ঝগড়ার শেষে ও এসে হাঁটু গেড়ে আমার সামনে বসে পড়ে।
শাকিব: বলিস কী! তারপর?
জলিল: তারপর মাথা ঝুঁকিয়ে বলে, ‘খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসো। আর মারব না।’

****

ভাগ্য খারাপ হওয়ার কারণ
মার্ক টোয়েন একবার শেভ করতে সেলুনে গেছেন। শেভ করানোর ফাঁকে ফাঁকে নরসুন্দরের সঙ্গে আলাপ করছিলেন—
মার্ক: আপনাদের শহরে এবারই প্রথম বেড়াতে এলাম।
নরসুন্দর: ভালো সময়ে এসেছেন। আজ রাতে আমাদের এখানে মার্ক টোয়েন বক্তৃতা করবেন। আপনি সেখানে যাচ্ছেন তো?
মার্ক: হুম, আশা করছি যাব।
নরসুন্দর: টিকিট কিনেছেন?
মার্ক: না তো!
নরসুন্দর: মনে হয় আর টিকিট পাবেন না। পেলেও আপনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
মার্ক: আমার ভাগ্যই আসলে খারাপ। ভদ্রলোক যখনই বক্তৃতা করেন, তখনই আমাকে সব সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়!

***
আত্মহত্যায় বাধা
পল্টু একদিন রেস্টুরেন্টে একটি কোমলপানীয়ের বোতল সামনে রেখে উদাস হয়ে বসেছিল। একটু পর তার এক বন্ধু এলো—
বন্ধু: কিরে পল্টু, তোর খবর কী? উদাস হয়ে বসে আছিস কেন?
পল্টু: এই তো আছি।

বন্ধু এবার টেবিলে রাখা পানীয়টা ঢক ঢক করে খেয়ে ফেলল—
বন্ধু: বল, কী হয়েছে?
পল্টু: আর বলিস না। আজ ভাগ্যটাই খারাপ দোস্ত।
বন্ধু: কেন, কী হয়েছে?
পল্টু: জিএফের সঙ্গে সকালে ব্রেকআপ হলো। তারপর রাস্তায় গাড়িটা নষ্ট হওয়ায় অফিসে যেতে দেরি হলো। তাই বস আমাকে চাকরি থেকে আউট করে দিলো।
বন্ধু: এ আর কী ব্যাপার। জিএফ একটা গেছে দশটা আসবে। চাকরি নাই, আবার পাবি।
পল্টু: না রে দোস্ত। আমার ভাগ্যটাই খারাপ, মনের দুঃখে আত্মহত্যা করার জন্য পানীয়তে বিষ মেশালাম, তাও আবার তুই এসে খেয়ে ফেললি!