ঢাকা কলেজের সঙ্গে আমার নাড়ির টান রয়েছে। কেননা আমার বাবাও এ কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাই সবসময় আমি ঢাকা কলেজের প্রতি অন্যরকম টান অনুভব করি। তিনি আগে থেকেই রাজনীতি সচেতন একজন মানুষ ছিলেন। তবে ঢাকা কলেজে ভর্তি হওয়ার পরই পুরোপুরি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

বুধবার (২ মার্চ) ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এভাবেই স্মৃতিচারণ করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

একাদশ শ্রেণির সকল নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটি এই ভূখণ্ডে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮২ বছরের পুরনো কলেজ আর একটিও নেই। এটি সবচেয়ে পুরনো কলেজ। ঢাকা কলেজের রয়েছে বিশাল ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আমার বাবা এম এ ওয়াদুদ ১৯৪৬ সালে চাঁদপুর থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকায় এসে এ কলেজেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে এ কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এ কলেজে পড়ার সময়ই তিনি রাজনীতির সঙ্গে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তিনি নয় বরং আমাদের সব আন্দোলন সংগ্রামে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অনেকেই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেকেও ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন,  গত প্রায় দুই বছরে করোনা অতিমারির মধ্যে তোমাদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যেও আমরা পরীক্ষা নিয়ে যথাসময়ে ফলাফল প্রকাশ করেছি এবং কলেজে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।

এছাড়াও সকল নবীন শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী তুলে দেওয়ায় কলেজ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ অনন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। সকল শিক্ষার্থীর হাতে তারা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি তুলে দিয়েছে। এ বইয়ের বিষয়বস্তুর ওপর আবার কুইজও অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানা ও বাংলাদেশের ইতিহাস জানার এ এক অনন্য উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবে, মুক্তিযুদ্ধকে জানতে পারবেন।

আরএইচটি/এসকেডি