ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ১৮টি ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে এই পুর্নমিলনী শুরু হয়। এতে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ১ম থেকে ১৮তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই. কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, সবুজবাগ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামিম আরা বেগম, অর্থনীতি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মমতাজ বেগম, প্রফেসর পারভিন আক্তার জাহান ও প্রফেসর রোকসানা আলম কাদরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ঢাকা কলেজ বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তখনও তৈরি হয়নি। কিন্তু ঢাকা কলেজ ও আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মধ্যবিত্ত এবং উদীয়মান মধ্যবিত্তদের শিক্ষার যে চাহিদা তা পূরণ করেছিল। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের পর মধ্যবিত্ত বিশেষ করে কৃষিনির্ভর মধ্যবিত্ত শ্রেণির সন্তানেরা উচ্চশিক্ষা লাভের যে আগ্রহ ছিল সেটি পূরণের জন্য ঢাকা কলেজ গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করেছে। এ কলেজের শিক্ষার্থীরা অতীত থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত রেখেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আগামীর বিশ্ব হবে মেধাবীদের। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবশিল্প নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানুষ হতে হবে। ঢাকা কলেজের অনুজ ও অগ্রজ শিক্ষার্থীরা এসব ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে হবে।

পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজ জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। পরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে আনন্দ র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি কলেজ থেকে বের হয়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে পুনরায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। পরে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আরএইচটি/ওএফ